তারকেশ্বর মন্দিরের উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদে কেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতা? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। শুধু মমতার সমালোচনা করেই ক্ষান্ত হননি স্বামী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে শীঘ্রই আইনি লড়াইয়ে নামার হুমকিও দিয়েছেন তিনি।
১ জুন, ২০১৭ হুগলির প্রশাসনিক বৈঠকে তারকেশ্বর উন্নয়ন পর্ষদ গঠনের সিদ্ধান্ত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই উন্নয়ন পর্ষদই তারকেশ্বর মন্দিরের উন্নয়নমূলক কাজ করবে বলে জানান তিনি। এই উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদে পুর নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে বসানো নিয়েই বিতর্ক তুঙ্গে।
বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তোষা্মোদের রাজনীতি শুরু করেছেন বাংলার বুকে। সেই কারণেই সংখ্যালঘু নেতাকে বসানো হয়েছে তারকেশ্বর মন্দির উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদে। এটা মমতার সংখ্যালঘু তোষণের আর একটা নমুনা বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সতর্ক করে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে শীঘ্রই তিনি আইনি নোটিশ পাঠাবেন। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই আইনজীবীদের সঙ্গে তিনি পরামর্শ করেছেন বলেও জানিয়েছেন স্বামী। রিট পিটিশন দায়ের করার প্রস্তুতিও নিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি মমতার এই সিদ্ধান্ত বুমেরাং হতে পারে।
একই ভুল হিমাচলপ্রদেশ করেছে। জ্বালামুখী মন্দির কমিটিতে অহিন্দুদের অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়েছে। এই নিয়ে পুনরায় প্রতিবাদে সোচ্চার স্বামী সুব্রম্মিনয়ম। মন্দির কোনো রাজনৈতিক নেতার মজলিস ক্ষেত্র নয়।
আজ ভোটে তারকেশ্বর সেটাই উপলব্ধি করুক।
ফিরহাদ হাকিমকে তারকেশ্বর মন্দির উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছেন বিজেপি-র পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও। টুইটারে তিনি বলেছেন, ‘ফিরহাদ হাকিমই সেই নেতা, যিনি বলেছিলেন কলকাতার বন্দর এলাকার একটি অঞ্চল মিনি পাকিস্তানের মতো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন সেই নেতাকেই মন্দির উন্নয়নকল্পে পর্ষদের চেয়ারম্যান করেছেন।’
কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও আরও জানিয়েছেন যে, ‘ঠিক একই ভুল করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। অখিলেশ যাদব কুম্ভের সম্পাদক করেছিলেন আজম খানকে। তার ফল হাতেনাতে পেয়েছেন। ভোটের ফলাফল কী হয়েছে আজ সবাই জানেন।’ বা্ংলার অবস্থাও একই হবে বলে দাবি বিজয়বর্গীয়র।