দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে গ্রামীণ হাওড়া—বেলা যত গড়াচ্ছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জমছে নির্বাচন কমিশনের দফতরে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন।
একটি ভিডিও ফুটেজ জমা পড়ে কমিশনে। তাতে দেখা যায় রাস্তা দিয়ে বুথের পথে যাচ্ছেন এক মধ্য বয়সী মহিলা। তাঁর পথ আটকায় এক যুবক। ওই যুবক মহিলার উদ্দেশে বলতে থাকেন, ভোট দিতে যাবি না। পাল্টা মহিলা বলেন, কেন ভোট দিতে যাব না? তার জবাবে ওই যুবক বলেন, তোকে বলছি ভোট দিতে যাবি না, তাই যাবি না। নাছোড়বান্দা মহিলা ফের বলেন, কেন গেলে কী করবি? এর পরেই ওই যুবক বলেন, দেখিস কী করি! ভোটটা শেষ হোক। তোকে বলছি চলে যেতে, তুই চলে যা। মহিলার তখন চোয়াল আরও শক্ত। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ভোট আমি দিতে যাবই। তোর পার্টি যা পারে করুক। এরপরেই রাস্তার মধ্যে মহিলাকে ধরে টানাটানি শুরু করে দেয় ওই যুবক।
অভিযোগ, রাস্তার মধ্যে যে যুবক মহিলা ভোটারকে শারীরিক হেনস্থা করেছে সে স্থানীয় তৃণমূলকর্মী। সিপিএমের দেওয়া এই ভিডিও ফুটেজ জমা পড়তেই দ্রুত দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন। বিষ্ণুপুরের ১২৩ নম্বর বুথ এলাকার বাসিন্দারাও অভিযোগ করেছেন, গ্রামের মহিলারা সকালে যখন ভোট দিতে যাচ্ছিলেন দল বেঁধে তখন প্রায় ১০০ তৃণমূলের লোক জন লাঠি, বাঁশ হাতে তাড়া করে তাঁদের ফিরিয়ে দিয়েছে।
এবারই প্রথম ভোট দেওয়ার কথা ছিল এক তরুণী বলেন, “আমি রাস্তায় বেরোতেই ওরা তেড়ে এল। বলল বুথের দিকে যাবি না।” তাঁকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, কেন এটা করছে? জবাবে ওই তরুণী বলেন, “আমাদের পাড়ার সবাই বিজেপি করে তাই ওরা এটা করেছে।”
হাওড়ার শ্যামপুরের বিজেপি প্রার্থী তথা অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী অভিযোগ করেছেন, বহু জায়গায় রাস্তা থেকে ভোটারদের ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে। কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জগৎবল্লভপুর বিধানসভার জগৎবল্লভপুর হাইস্কুলের ৩ এবং ৪ নম্বর বুথে আইএসএফের ক্যাম্প অফিস দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দুই আইএসএফ কর্মীকেও মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। যদিও তৃণমূলের দাবি, ওখানে কোনও ক্যাম্প অফিস ছিল না।