এখন আর তাদের সেরকম দাপাদাপি নেই। তবুও যেন তারা আছে। আর নিজেদের অস্তিত্বের জানান দেয় তারা মাঝেমধ্যেই। তবে মাওবাদীরা এখন অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে নেমেছে। হারানোর আর কিছু নেই তাদের। তাই নিরাপত্তা বাহিনীর উপর অল-আউট আক্রমণ করছে তারা। তবে এখনও দেশের দশটি রাজ্যে অতিসক্রিয় রয়েছে নকশালরা। সব থেকে বেশি সক্রিয় ছত্তীসগড় ও ঝাড়খণ্ডে।
News18 Hindi
ছত্তীসগড়ের বীজাপুর-সুকমা সীমান্তে মাওবাদী হামলায় ২২ জন জওয়ান শহিদ হয়েছেন। এই ভয়ানক হামলার পর থেকে ফের মাওবাদীদের সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এখনও ছত্তীসড় ও ঝাড়খণ্ডের অনেকগুলি রাজ্য রেড করিডর বলে পরিচিত। মধ্য, পূর্ব ও দক্ষিণ ভারতের কিছু অংশে নকশালদের দাপাদাপি রয়েছে। বন্দুকের জোরে সমাজে সমানাধিকার আনতে চায় তারা। তাদের লড়াই মূলত রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রব্যবস্থার বিরুদ্ধে। শিক্ষা, স্বাস্থ্যের দিক থেকে পিছিয়ে থাকা দেশের প্রায় ১০টি রাজ্যে এখনও মাওবাদীরা সক্রিয়।
অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, ছত্তীসগড়, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় এখনও নকশালরা সক্রিয়। মাঝেমধ্যেই এইসব রাজ্যের জেলাগুলিতে নকশালরা নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলা চালায়।
বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও ছত্তীসগড়, এই চার রাজ্যে এখনও মাওবাদীরা অতিসক্রিয়। তবে গত এক দশকে তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়েছে। আগের মতো আর তাদের বাড়বাড়ন্ত নেই। ২০০৯ সালে দেশের ১৮০টি জেলায় মাওবাদীদের দাপট ছিল। এখন যা অনেকটাই কমেছে।
ছত্তীসগড়ের বিজাপুর-সুকমা সীমান্তে এখনও মাওবাদীরা সক্রিয়। আর নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই ওই এলাকায় প্রায়ই নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলা চালাচ্ছে নকশালরা। ছত্তীসগড়ের নারায়নপুর, দান্তেওয়ারা, রাজনন্দগাও, কোডাগাও, বস্তরেও নকশালরা অতি সক্রিয়।