এ যেন গৃহদাহ! জুনিয়র ডাক্তারদের বিক্ষোভে থামাতে এসএসকেএম হাসপাতালে এসে হুমকি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ৪ ঘন্টার মধ্যে কাজে যোগ না দিলে হোস্টেল খালি করে দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রতিবাদে পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের মেয়ে শাব্বা হাকিম জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়ালেন। ফিরহাদ কন্যা নিজেও পেশায় চিকিৎসক। ফেসবুক পোস্ট করে, জুনিয়র ডাক্তাদের যাদবপুর কেপিসি হাসপাতালে আশ্রয় নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। সেই পোস্টে লেখা, “যদি তোমরা কেউ নিজেকে নিরাপদ নয় বোঝো, তাহলে কেপিসি-তে চলে এস।”
এই বিষয়ে শাব্বা হাকিমের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিজে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক। আমার বাবা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সম্মান করি। কিন্তু চিকিৎসক হিসেবেও আমার একটা অবস্থান আছে। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে ডাক্তারদের পাশে দাঁড়ানো কর্তব্য বলে মনে করেছি।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে ফেসবুকে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের সমর্থন করে প্রথমবার পোস্টটি করেন মেয়র কন্যা। ফেসবুকে শাব্বা লেখেন, “যাঁরা বলছেন অন্য রোগীদের কী দোষ, দয়া করে তাঁরা প্রশাসনকে প্রশ্ন করুন কেন সরকারি হাসপাতালে মোতায়েন পুলিসকর্মীরা চিকিত্সকদের নিরাপত্তা দিতে কিছু করতে পারেন না? দয়া করে তাঁদের প্রশ্ন করুন যে যখন দুই ট্রাক ভর্তি দুষ্কৃতী হাসপাতালে ঢুকল, তখন কেন তাদের সঙ্গে সঙ্গে বাধা দিয়ে, ফেরত পাঠানো হল না? প্রশ্ন করুন, কেন সরকারি হাসপাতালে দাপিয়ে বেড়ায় গুন্ডারা? যখন তখন মারধর করা হয় ডাক্তারদের?”
অবস্থায় এদিন এসএসকেএম হাসপাতালে তৃণমূল নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করে। কাউন্সিলর অসীম বসু, সন্দীপ বক্সী ও এলাকার তৃণমূল নেতা বাবুল সিংহরা চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান। কিন্তু, ফিরহাদ হাকিমের কন্যার মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ফেসবুক পোস্ট তৃণমূলের অন্দরের অস্বস্তি কমাতে পারেনি এতটুকু!