চলে গেলেন বর্ষীয়ান বলিউড অভিনেত্রী শশীকলা (Shashikala)। রবিবার মুম্বইয়ের কোলাবায় নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৮৮। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিনোদন জগতে। প্রায় শতাধিক ছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি একাধিক জনপ্রিয় টিভি শো-তেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।
১৯৩২ সালে মহারাষ্ট্রের সোলাপুরে জন্ম শশীকলার। অল্প বয়স থেকেই অভিনয়ে হাতেখড়ি। ১৯৫৩ সালে ‘তিন বাতি চার রাস্তা’ ছবিতে অভিনয় করে প্রথমবার নজরে আসেন তিনি। কিন্তু ১৯৬২ সালের ‘আরতি’ ছবিতে অভিনয়ই তাঁকে খ্যাতি এনে দেয়। সেই ছবিতে মীনা কুমারী, অশোক কুমার, প্রদীপ কুমারের মতো অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে দাপটে অভিনয় করেন তিনি। পরবর্তী সময়ে ‘খুবসুরত’, ‘অনুপমা’, ‘আয়ি মিলন কি বেলা’র মতো সুপারহিট ছবিতে তাঁর অভিনয় দর্শকপ্রিয় হয়।
নব্বই দশকে শাহরুখ-সলমনদের সঙ্গে রুপোলি পরদায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। ‘বাদশাহ’ (১৯৯৯) ছবিতে শাহরুখ খানের মায়ের ভূমিকায় ছিলেন শশীকলা। পরবর্তী সময়ে ব্লকবাস্টার ‘কভি খুশি কভি গম’ (২০০১) ছবিতেও বিশেষ উপস্থিতিতে নজর কাড়েন। কেবল শাহরুখ নয়, সলমনের সঙ্গেও ‘মুঝসে শাদি করোগে’র মতো (২০০৪) হিট ছবিতে কাজ করেছিলেন তিনি। সেখানে তিনি সলমনের ঠাকুমা হয়েছিলেন। ছোট পর্দায় ‘সোনপড়ি’, ‘জিনা ইসি কা নাম হ্যায়’-এর মতো জনপ্রিয় শোয়েও দেখা গিয়েছে তাঁকে।
খল চরিত্র হোক কিংবা কমেডি, শশীকলার অভিনয় ক্ষমতা স্বীকৃত হয়েছে বারবার। কেবল দর্শকদের ভালবাসাই নয়, পেয়েছেন সরকারি স্বীকৃতিও। ২০০৭ সালে ভারতীয় সিনেমায় তাঁর অবদানের জন্য পদ্মশ্রীতে ভূষিত হন এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। পরবর্তী সময়ে ২০০৯ সালে ভি শান্তারাম লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কারও পান তিনি। এই কিংবদন্তি অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবরে শোকাচ্ছন্ন বলিউড। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে টুইট করেন অভিনেতা রনিত রায়।