বিজেপি (BJP) ক্ষমতায় এলে কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী? রাজ্য রাজনীতিতে এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন। সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের ফেসবুক লাইভে ক্রিকেটের খবর রাখা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) সোজা ব্যাটে খেললেন এই বল। দ্বিতীয় দফার ভোটের পরেও এই প্রশ্নের কোনও উত্তর মিলল না দিলীপ ঘোষের কাছ থেকে। শুভেন্দু বা দিলীপ কারও নাম নিয়েই দলে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি, কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী তা দল ঠিক করবে বলেই জানিয়ে দিলেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), বামপন্থী থেকে বুদ্ধিজীবী, সব প্রসঙ্গে তাঁর নিজস্ব ভঙ্গিতে উত্তর দিলেন। দাবি করলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে (Nandigram) হারবেন। আর একান্ত আলাপ চারিতায় রাজনীতির বাইরের প্রশ্নেরও অকপট উত্তর দিলেন। খোলসা করলেন অন্য কিশোরদের মতো তিনিও একটা বয়সে প্রচুর হিন্দি সিনেমা দেখেছেন। আর কেন দেখতেন তাও জানালেন ফেসবুক লাইভে।
তৃণমূল রাস্তাঘাট, জনমুখী প্রকল্প-সহ অনেক কাজ করেছে। তাহলেও মানুষ কেন বিজেপিকে ভোট দেবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ সরাসরি দাবি করেন, সব সরকারই কিছু না কিছু ভাল কাজ করে। কিন্তু দেখতে হবে মানুষের আশা পূরণ হচ্ছে কিনা। আর মানুষ কিন্তু এই সরকারের আমলে রাজ্য থেকে গণতন্ত্রটাই গায়েব হয়ে গিয়েছে। তাঁর দাবি এ রাজ্যে মনোনয়ন জমা দেওয়া থেকে শুরু হয়ে যায় রিগিং। সাধারণ মানুষ ভাবতে শুরু করেছেন, এটা ঠিক নয়। এমনকী তাঁর কথায় উঠে আসে রাজ্যের পুরসভাগুলিতে নির্বাচন না করিয়ে প্রশাসক বসিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গেও। দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, মানুষের মনে এখন বদ্ধমূল ধারনাই হয়ে গিয়েছে, রাজ্যে বিজেপি আসছে। আর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মতো সজ্জন ব্যক্তি যদি হারতে পারেন তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও হারতে পারেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হারবেনও।
[আরও পড়ুন: ‘এবার ঘরে ঘরে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পৌঁছে দেওয়া হবে’, রায়দিঘিতে ঘোষণা মমতার]
রাজ্যের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা আর ভোটে জিততে বিজেপির পরিকল্পনা প্রসঙ্গেও নিজের দৃষ্টিভঙ্গি জানালেন দিলীপ ঘোষ। আইন শৃঙ্খলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দিকে সরাসরি অভিযোগ করে বলেন, রাজ্যে যা হচ্ছে তার সব দায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনিই তৃণমূলের সব আসনে প্রার্থী, আর রাজ্যে তো একটাই পোস্ট বাকি সব ল্যাম্প পোস্ট। বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করা হবে এবং মহিলারা নিরাপদে রাস্তায় বার হতে পারবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
রাজনীতির বাইরে দিলীপ ঘোষ কেমন, কী খান, অবসর কীভাবে কাটান? সে প্রশ্নেরও অকপট উত্তর দিলেন। স্কুল, কলেজে পড়ার সময় তিনিও প্রচুর হিন্দি সিনেমা দেখতেন। কারণ তিনি তখন হিন্দিটা শেখার চেষ্টা করতেন সিনেমা দেখে। আর পাঁচটা কিশোরের মতো তিনিও গল্প উপন্যাস পড়েছেন সেই বয়সে। কিন্তু এখন আর সময়ের অভাবে হয়ে ওঠে না। তবে ক্রিকেটের খবর যে বিলক্ষণ রাখেন, তা বোঝা গেল তাঁর সৌরভ থেকে কোহলির প্রসঙ্গ উঠতেই। তবে সৌরভের বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে যে দলে কোনও আলোচনা হয়নি, তাও জানিয়ে দিলেন তিনি। তাঁর দাবি, সবটাই ছিল ভুয়ো প্রচার। তবে তাঁর সম্পর্কে যাই প্রচার হোক, মানুষ যাই বলুন তিনি যে তাঁর নিজের স্টাইলেই পথ চলবেন বার বার বুঝিয়ে দিলেন সে কথা। আর এই ইমেজেই মানুষ তাঁকে গ্রহণ করেছেন বলেই দাবি করলেন। বাংলাদেশে নাকি সব গরু পাচার হয়ে যাওয়ায় দুধ খেতে পাচ্ছেন না বলেও আক্ষেপ শোনা গেল রাজ্যে বিজেপির মুখ দিলীপ ঘোষের গলায়।