করোনার সেকেন্ড ওয়েভ কাঁপুনি ধরাচ্ছে। হত ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে নতুন করে প্রায় ৯০ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৭১৪ জনের। গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৪৬৯। একদিকে সংক্রমণে যেমন বিদ্যুৎ গতি, তেমনি বেড়েই চলেছে করোনায় মৃত্যু। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শনিবার সকাল পর্যন্ত দেশজুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ কোটি ২৩ লক্ষ ৯২ হাজার ২৬০। দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ১১০ জনের।
হু হু করে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। রাজ্যে-রাজ্যে ফের সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। সচেতন না হলে বড়সড় বিপদের মুখে দাঁড়াতে হতে পারে গোটা দেশকে। আগের চেয়েও বেশি মাশুল গুণতে হতে পারে দেশের নাগরিককে। আগেই একথা জানিয়ে সতর্ক করে দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে দেশজুড়ে।
এপ্রিলের শুরুতেই রেকর্ত হারে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে গোটা দেশে। চলতি বছরে একদিনের নিরিখে রেকর্ড হারে সংক্রমণ গোটা দেশে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশ জুড়ে ৮৯ হাজার ১২৯ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭১৪ জনের। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ৪৪ হাজার ২০২ জন। দেশে সুস্থতার হার ৯৩.৩৬ শতাংশ।
দেশের মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থা মহারাষ্ট্রে। করোনার ক্রমবর্ধমান সংক্রমণে লাগাম টানতে এবার লকডাউনের পথে হাঁটতে পারে মহারাষ্ট্র। খোদ মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এই ইঙ্গিত দিয়েছেন। রাজ্যে করোনার সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে। প্রতিদিন হাজার-হাজার মানুষ নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছেন। পরিস্থিতি এমনই চলতে থাকলে লকডাউনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। গোটা রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে আছে। করোনার সংক্রমণ রুখতে রাজ্যবাসীকে আৎও বেশি সতর্ক হতে হবে। করোনা পাকাপাকিভাবে বিদায় নিয়েছে বলে অনেকে ভাবছেন। সেই ভাবনা থেকেই বিপদ বাড়ছে। সভা, সমাবেশ, বিয়ে ও অন্য অনুষ্ঠান চলছে। আরও একবার সবাইকে সংযত হওয়ার আর্জি জানাচ্ছি। সংক্রমণ রুখতে প্রত্যেকে আরও বেশি সতর্ক হোন।’’