আগামী মঙ্গলবার, তৃতীয় দফায় ৩১ টি বিধানসভা আসনে ভোট গ্রহণ। ওই দিন নির্বাচনের জন্য মোট ৬১৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন এই তথ্য জানিয়েছে৷
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ৩০৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে বারুইপুর পুলিশ জেলায় ১৩০ কোম্পানি, ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলায় ১১৩ কোম্পানি, সুন্দরবন পুলিশ জেলায় ৬৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে। হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় ১৩৩ এবং কমিশনারেট এলাকায় ১১ সহ মোট ১৪৪ কোম্পানি এবং হুগলি জেলায় ১৬৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে।
উল্লেখ্য,দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে দুই জেলায় মোট ৬৫১ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন ছিল। পশ্চিম মেদিনীপুরে ২১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, বাঁকুড়ায় ১৭০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, পূর্ব মেদিনীপুরে ১৯৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ছিল ৭২ কোম্পানি আধাসেনা। শুধুমাত্র নন্দীগ্রামেই থাকছে ২১ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন ছিল। নন্দীগ্রাম সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে ১ কোম্পানি মহিলা সহ মোট ৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এই মুহূর্তে রয়েছে।
এদিকে, তৃতীয় দফায় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের আলোচনা করতে আজ, শনিবার বিকেলে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব সংশ্লিষ্ট তিন জেলার জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলা শাসক, এবং জেলার তথ্য প্রযুক্তির আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। অন্যদিকে, দ্বিতীয় দফা ও তার আগে প্রথম দফা নির্বাচনে বেশ কয়েকটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটারদের পরিচয় পত্র দেখতে চায় বলে যে অভিযোগ উঠেছে সেব্যাপারে কমিশন জানিয়েছে, বুথের মধ্যে ভোটার কার্ড পরীক্ষা করতে পারবে না কেন্দ্রীয় বাহিনী। বুথে ভোটার কার্ড পরীক্ষা করতে পারবে শুধু ফার্স্ট পোলিং অফিসার৷
এদিকে, তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলার মানুষের উপরে অত্যাচার করছে। তাদের ব্যবহারে সাধারণ ভোটাররা ভয় পেয়ে যাচ্ছে। ওরা যেখানে সেখানে লাঠি দিয়ে মারছে, ভয় দেখাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন যদি ওদের থামাতে না পারে তাহলে আমাদের আন্দোলনের রাস্তায় যেতে হবে।
শুক্রবার সৌগত রায় আরও বলেন, একের পর এক ইভিএম খারাপ হয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা কোন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। অসমের করিমগঞ্জের রাতাবাড়ি আসনে বিজেপি কর্মীর গাড়িতে ইভিএম নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওরা অবশ্য ওদের ভুল স্বীকার করে নিয়েছে। এই হচ্ছে কমিশন।