দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের পরেই ফের রাজ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে আসেন তিনি। এরপর ভোট প্রচারে চলে যাবেন উত্তরবঙ্গে।
বেলা ১১ টায় কোচবিহারের শীতলকুচিতে সভা করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখান থেকে তিনি যাবেন আলিপুরদুয়ারের সভায়। সেখানে সাড়ে ১২ টায় সভা শুরুর কথা রয়েছে। এরপর দুপুর ৩টেয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর পশ্চিম কেন্দ্রে রোড শো করবেন অমিত শাহ। বিকেল সাড়ে ৪টেয় হুগলির আরামবাগে ফের আরএকটি রোড শো’তে অংশ নেবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
একদিকে অমিত শাহ যখন উত্তরবঙ্গে পৌঁছচ্ছেন, তখন ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গে পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বৃহস্পতিবার রাতটুকু নন্দীগ্রামেই কাটান মমতা । এরপর সকালবেলাই রেয়াপাড়া থেকে বের হয়ে অস্থায়ী হেলিপ্যাডে গিয়ে সেখান থেকে চপারে চড়ে কলকাতা আসেন মমতা। এরপরের গন্তব্য উত্তরবঙ্গ। উত্তরবঙ্গে মোট তিনটি জনসভা করবেন তৃণমূল নেত্রী। এই তিনটি জনসভা থেকেই উত্তরবঙ্গের ১৪ টি আসনের প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করবেন মমতা।
বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীর প্রথম সভা রয়েছে দিনহাটা টাউনে সংহতি ময়দানে। সেখানে দিনহাটার তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ-র সমর্থনে প্রচার সারবেন তিনি। এরপর তুফানগঞ্জ এসএমএ মাঠে জনসভা রয়েছে মমতার। সেটির পরে ফালাকাটায় বক্তব্য রাখবেন তৃণমূল নেত্রী। শাহের বক্তব্যের পরে উত্তরবঙ্গকে মমতা কী বার্তা দেন সেদিকে নজর রয়েছে সকলের।
নির্বাচনের মধ্যে যেভাবে বারেবারে কেন্দ্রীয় নেতারা রাজ্য সফরে আসছেন তাতে বেশ কিছুটা চাপে পড়ছে তৃণমূল শিবির। বৃহস্পতিবারই জয়নগরে সভা করেছেন খোদ নরেন্দ্র মোদী। সেখান থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণের পাশাপাশি তিনি জানান, “এবার নির্বাচনে ২০০ এর বেশি সিট পাবে বিজেপি”। পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য ছিল, “অনুপ্রবেশকারীদের খুশি করতে চাইছে দিদি।” তিনি মঞ্চ থেকেই প্রশ্ন ছোঁড়েন, “কিছুদিন আগে বাংলাদেশে গিয়েছিলাম। সেখানে শক্তিপীঠ ও ওরাকান্দিতেও যাই। তা দেখে দিদির রাগ হয়েছে। মা কালীর মন্দিরে যাওয়াটা কি অন্যায়? ”