ভোট দিলেন শুভেন্দু অধিকারী৷ বৃহস্পতিবার সকালে বাইকে চেপে ভোট দিতে যান নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী৷ হাইভোল্টেজ লড়াই আজ৷ সকাল-সকাল দলীয় কর্মীর বাইকে চেপেই বুথে হাজির শুভেন্দু৷ অন্যদিকে, ভোট দিয়েছেন নন্দীগ্রামের সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়৷ সকালে শুরুর দিকে ভোট সংক্রান্ত যতটুকু খবর পেয়েছেন তাতে আপাতত সন্তুষ্ট মীনাক্ষী৷ তবে কয়েকটি জায়গা থেকে এদিন সকালে বিক্ষিপ্ত ঘটনা তাঁর কানে এসেছে৷ নন্দীগ্রামে কড়া নিরাপত্তায় ভোট হচ্ছে৷ তিনি বলেন, ‘‘কয়েকটি জায়গায় পোলিং এজেন্ট বসতে না দেওয়ার অভিযোগ এসেছে৷ মানুষ ভোট দিচ্ছেন৷’’
কড়া নিরাপত্তার চাদরে মোড়া নন্দীগ্রাম৷ বাংলার চলতি বিধানসভা নির্বাচনে সবচেয়ে চর্চিত কেন্দ্র এটি৷ নন্দীগ্রাম থেকেই এবার ভোটে লড়ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপক্ষে এবার বিজেপির বাজি শুভেন্দু অধিকারী৷ শুভেন্দুর হয়ে নন্দীগ্রামে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রচারে ঝড় তুলেছে গেরুয়া ব্রিগেড৷ মোদী, শাহ থেকে শুরু করে বিজেপির তাবড় নেতা-মন্ত্রী নন্দীগ্রামে প্রচার করে গিয়েছেন৷ শুভেন্দু অধিকারী নিজেও জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী৷ শুরু থেকেই নন্দীগ্রামে নজর সবার৷ দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর পাশাপাশি নন্দীগ্রাম থেকে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়৷
এদিন বাইকে সওযার হয়ে ভোট দিতে যান শুভেন্দু অধিকারী৷ ভোট দিয়ে বেরিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘ বেগম হারছে। বিকাশ জিতছে। ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ হচ্ছে। ৭০-৮০ বুথে তৃণমূলের এজেন্ট নেই। যে বুথে ভোটারদের বিব্রত করার খবর পাব, সেখানে যাব৷’’
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নন্দীগ্রামে ভোটগ্রহণ শুরু হয়৷ নন্দীগ্রামে এদিন সকাল সকাল ভোট দিয়েছেন বাম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এদিন নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়ায় গিয়ে নির্বাচন পরিস্থিতি ঘুরে দেখেন মীনাক্ষী৷ নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি৷ এদিন, ভোট দেওয়ার পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নন্দীগ্রামের বাম প্রার্থী৷ তিনি বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত যা খবর পেয়েছি, মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে৷ তবে কয়েকটি জায়গায় এজেন্টদের বসতে না দেওয়ার অভিযোগ এসেছে৷’’ এদিকে, গোটা নন্দীগ্রাম নিরাপত্তা বলয়ে ঘেরা থাকলেও অশান্তি এড়ানো যায়নি৷ নন্দীগ্রামের কালীচরণপুরে গতকাল রাতভর বোমাবাজি হয়। আজ সকাল পর্যন্ত চলে বোমাবাজি।
অন্যদিকে, আজ সকালে বাইকে চেপে ভোট দিতে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। গোটা নন্দীগ্রাম কেন্দ্রীয় বাহিনীর দখলে৷ ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন পূর্ব মেদিনীপুরের এই কেন্দ্রে৷ কপ্টারেও চলছে নজরদারি। প্রতি বুথে মোতায়েন ৪ জওয়ান। বন্ধ খেয়া পারাপার। নন্দীগ্রামের বিভিন্ন রাস্তায় চলছে নাকা চেকিং।