‘ভোট দ্বিতীয়া’ বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ রাজ্যের ৩০ আসনে। তবে সব নজর নন্দীগ্রামে। ভোট ঘোষণার আগে থেকেই যে আসন ‘ভিভিআইপি’। প্রচারের সব আলো কেড়েছে এই কেন্দ্রে তৃণমূল ও বিজেপি-র প্রচার। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই আসনে তৃতীয় স্থানে থাকা বিজেপি ২০১৯-এর লোকসভা ফলের নিরিখে দ্বিতীয় হয়ে যায়। আর এ বার তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি। প্রার্থী সে দিন তৃণমূলে থাকা শুভেন্দু অধিকারী। উল্টো দিকে তৃণমূলের ভোট-কাণ্ডারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে বৃহস্পতিবার আরও ২৯ আসনে ভোটগ্রহণ থাকলেও সব আলো পূর্ব মেদিনীপুরে এই গ্রামীণ কেন্দ্রে।
বৃহস্পতিবার যে ৩০ আসনে নির্বাচন, ২০১৬ সালে তার মধ্যে মাত্র ১টি আসনে জয় পেয়েছিল বিজেপি। দিলীপ ঘোষের হাত ধরে খড়্গপুর সদর কেন্দ্রটি হাতে আসে তাদের। সেই তুলনায়, তৃণমূলের হাতে ছিল ২১টি আসন—দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা, পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ, সাগর, পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া পশ্চিম, ময়না, নন্দকুমার, মহিষাদল, নন্দীগ্রাম, চণ্ডীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়, পিংলা, ডেবরা, দাসপুর, ঘাটাল, চন্দ্রকোনা, কেশপুর, বাঁকুড়ার তালড্যাংরা, ওন্দা, কোতুলপুর, ইন্দাস। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক,পাঁশকুড়া পূর্ব, হলদিয়া, বাঁকুড়ার বরজোড়া এবং সোনামুখী আসন ৫টি ওঠে সিপিএম-এর হাতে। কংগ্রেস জয় পায় পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর এবং বাঁকুড়া—এই ৩টি আসনে।