যেন আগ্নেয়গিরি, মুহূর্তে লাভা উদগীরণ করবে, এক কথায় নন্দীগ্রামের অবস্থাটা ঠিক এমনই। একে তো প্রার্থীদের ধার-ভার, তারপর নন্দীগ্রামের দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী ইতিহাস, সব মিলিয়েই প্রমাদ গুণছে নির্বাচন কমিশন। তাই আগেভাগেই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে ১৪৪ ধারা জারি করল কমিশন। আজ বুধবার ও আগামিকাল এই ধারা বলবৎ থাকবে। শুধু নন্দীগ্রামই নয়, পূর্ব মেদিনীপুরের মোট ৯টি কেন্দ্রেই এই ১৪৪ ধারা বজায় রাখা হয়েছে। সিল করে দেওয়া হয়েছে নন্দীগ্রাম সীমান্তও।
সূত্রের খবর, ভোটের দিনে নন্দীগ্রামে বিশেষ নজরদারি চালাবেন দুই আইপিএস অফিসার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী , প্রবীণ ত্রিপাঠী। এছাড়াও চলবে হেলিকপ্টারে নজরদারি। ৩৫৫টি কেন্দ্রের অন্তত অর্ধেকে থাকবে লাইভ ক্যামেরার নজরদারি। নন্দীগ্রামের যেসব এলাকায় ১টি বুথ রয়েছে সেখানে ৮জন জওয়ান থাকবেন, যেখানে ২ টি বুথ রয়েছে সেখানে ১৬ জন জওয়ান থাকবেন আগামিকাল।
আজ সকাল থেকেই নন্দীগ্রামের রাস্তায় রাস্তায় অটোয় করে স্থানীয় মানুষজনকে সতর্কতা জারি করতে দেখা যায় প্রশাসনকে। এক এবং দুই নং ব্লকে বসবাসকারী জনসাধারণকে জানানো হয়, তাঁরা যেন রাস্তাঘাট এবং বাজারহাটে ভিড় না জমান! পাশাপাশি আগামিকাল ভোটদানের সময়ে মুখে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বিধি মানার ব্যাপারেও মাইকিং করে নির্দেশ দেওয়া হয়। আজ সকাল থেকেই টেঙ্গুয়ামোড়, বিরুলিয়া বাজারের মতো জমজমাট অঞ্চলগুলি শুনশান। যদিও রঙ্কিনীপুর সামসাবাদের মতো কয়েকটি এলাকায় তৃণমূল কর্মীদের হুমকি দেওয়া ঘটনা রয়েছে।
জায়গায় জায়গায় রুটমার্চ করছে আধাসেনা। যাদের নামে পুলিশে অভিযোগ রয়েছে তাদের বা়ড়িতে গিয়ে সতর্কও করে দিয়ে আসা হচ্ছে। এরই পাশাপাশি বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে জলপথে। নন্দীগ্রামের নদীপথের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশাসনের ভোট পরিকল্পনার কথা নিউজ এইট্টিনকে জানিয়েছেন পুর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক স্মিতা পান্ডে। তাঁর কথায়, নন্দীগ্রামের নদী পথগুলিতে বাড়তি সতর্কতা জারি থাকবে। সুষ্ঠ ভোট পরিচালনার লক্ষ্যে নন্দীগ্রামের নদী পথ এবং খেয়াঘাটে পুলিশের টহলদারির পাশাপাশি খেয়াঘাটে ফেরি সার্ভিস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।