লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ডের এক ইঞ্চি জমিও চিন সেনার দখলে নেই। দেশের এক ইঞ্চি জমিও চিনকে ছাড়া হয়নি। এমনই জানালেন সেনাপ্রধান নারাভানে। এর আগে গালওয়ান সীমান্তে চিনা সেনার অনুপ্রবেশের দাবি ঘিরে উত্তাল হয়েছিল দেশ। কংগ্রেস-সহ বিজেপি বিরোধী দলগুলি গালওয়ানে চিনা অনুপ্রবেশের দাবি নিয়ে মোদীর সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ায়। লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনা সেনারা ঢুকে পড়ে ঘাঁটি গেড়ে বসে রয়েছে বলেও দাবি করে একাধিক রাজনৈতিক দল। যদিও বিরোধীদের সেই সব অভিযোগ ওড়ালেন খোদ সেনাপ্রধান।
সীমান্ত সুরক্ষায় কোনও আপোস করবে না ভারত। বারবার একথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে গত বছর গালওয়ান সীমান্তে চিনা সেনার হামলায় ২০ ভারতীয় জোয়ান শহিদ হওয়ার ঘটনার পর থেকে বিতর্ক তৈরি হয়। চিনা সেনারা জোর করে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছে বলে অভিযোগ তোলে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। পরবর্তী সময়েও চিন সেনারা ভারতের অংশে ঢুকে ক্যাম্প বানিয়ে বসে আছে বলেও দাবি ওঠে। তবে পূর্ব লাদাখে চিনের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনা থাকলেও ভারতীয় ভূখণ্ডের এক ইঞ্চি জমিও চিনকে ছাড়া হয়নি বলে সাফ জানিয়ে দিলেন সেনাপ্রধান নারাভানে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের জনু মাসে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিনের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা চরমে ওঠে। চিনা সেনারা ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে। বাধা দিলে তারা চড়াও হয় ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপর। গালওয়ানে ভারত ও চিনা জওয়ানদের সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন। তবে সেই সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন চিনা সেনার মৃত্যুর খবর এলেও তা স্বীকার করেনি বেজিং।
তবে দেশের অন্দরে গালওয়ানের সংঘর্ষ নিয়ে উত্তেজনা চরমে ওঠে। মোদী সরকারের স্ট্র্যাটেজিক ত্রুটির জেরেই গালওয়ানের সংঘর্ষ বলে সরব হয় কংগ্রেস-সহ একাধিক বিরোধী দল। লাদাখে চিনা সেনা ভারতীয় জমি দখল করে আছে কিনা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই তা স্পষ্ট করতে হবে বলে দাবি করে বাম-কংগ্রেস।
সীমান্ত উত্তেজনা কমাতে গত এক বছরে দফায়-দফায় বৈঠক করেন ভারত ও চিন সেনার কর্তারা। কূটনৈতিকস্তরেও দফায়-দফায় আলোচনা চলে। শেষমেশ গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা সরায় দু’পক্ষই। সেনাপ্রধান নারাভানে জানিয়েছেন ভারতীয় ভূখণ্ডের এক ইঞ্চি জমিও দখলে নেই চিনা সেনার।