পর পর দু’বার দেশ জুড়ে আশাতীত সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। আর জয়ের মুখ মোদী হলেও কারিগর কিন্তু অমিত শাহ। তাঁর হাত ধরেই ৩০০ ছাড়িয়েছে বিজেপি। তাই তিনি নিজে সাংসদ হওয়ার পর, দলের দায়িত্ব সামলাবেন কে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল।

তবে আপাতত সব জল্পনা একপাশে সরিয়ে রাখা যেতে পারে। কারণ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদে আপাতত থাকছেন অমিত শাহই। বিজেপি সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। এখনই নতুন কাউকে দলের সভাপতি করার সিদ্ধান্ত নেয়নি বিজেপি। অর্থাৎ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সামলানোর পাশাপাশি দলও সমান তালে সামলাবেন অমিত শাহ।

বৃহস্পতিবারই সব রাজ্যর বিজেপি সভাপতিদের সঙ্গে দেখা করবেন অমিত শাহ। সদস্য বাড়ানো নিয়ে কথা হবে সেই বৈঠকে। পরবর্তীকালে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপত কে হবেন, সেই সিদ্ধান্ত নিতে অন্তত কয়েক মাস বাকি। অক্টোবর-নভেম্বরে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

সামনেই মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড ও হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। সেই দিকে তাকিয়ে এখনও সংগঠনের দায়িত্ব অন্য কাউকে দিতে রাজি নয় দল। এমনিতে তিন বছরের মেয়াদ থাকে বিজেপি সভাপতি পদের। অমিত শাহের মেয়াদ শেষ হেছে এবছরের শুরুতেই। কিন্তু, দল তাঁকে ওই পদেই থাকার অনুরোধ জানায়। লোকসভা নির্বাচনেও তাই দলের দায়িত্ব সামলান তিনি। আর তাঁর হাত ধরেই ৩০০ পেরিয়েছে বিজেপি। ফের ক্ষমতায় এসেছে মোদী সরকার।

এদিকে, তিনি আবার গান্ধীনগর থেকে ভোটেও লড়েছিলেন এবার। জয়ী হয়ে সাংসদ হয়েছেন। তাই তাঁকে সরকারে আনা হবে নাকি সংগঠনের দায়িত্বেই রাখা হবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। অবশেষে তাঁকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়েছে। তাই দলের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন থেকে যাচ্ছিল। এমনকি বিকলগপ খোঁজার কথাও শোনা গিয়েছিল।

রাজ্যসভার সদস্য জেপি নাড্ডার নামও উঠে এসেছিল সভাপতি পদের জন্য। খুব বেশি শিরোনামে না থাকলেও বিজেপির অন্দরে তিনিই যে অন্যতম স্ট্র্যাটেজিস্ট, তা অনেকেই মনে করেন। তাঁকে উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দিয়েছিল বিজেপি। আর লোকসভায় সেই রাক্যে ৮০-টির মধ্যে ৬২টি আসন পেয়েছে দল। কংগ্রেস ও অখিলেশ-মায়াবতীর তীব্র বিরোধিতা হার মেনেছে বিজেপির স্ট্র্যাটেজির কাছে।

তবে এই মুহূর্তে যে আর কোনও বিকল্প নেই, তা বিজেপির সিদ্ধান্তেই স্পষ্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.