নজিরবিহীন নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের। এবার থেকে আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাতে পারবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এমনই নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নিজেদের রক্ষা করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা প্রয়োজনে গুলিও চালাতে পারবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর হামলা কোনওমতেই বরদাস্ত করা হবে না। সাফ জানাল নির্বাচন কমিশন।
রাজ্যে দ্বিতীয় দফায় ভোটের আগে আরও কড়া নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর হামলা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আত্মরক্ষার্থে প্রয়োজনে গুলিও চালাতে পারে বাহিনী। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফা ভোটের আগের দিন পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে দুষ্কৃতীদের বোমাবাজিতে আহত হন পটাশপুর থানার ওসি।
বোমার আঘাতে জখম হয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ানও। বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত ক্ষোভ তৈরি হয় নির্বাচন কমিশনের। বাংলার ভোটে এবার অধিক মাত্রায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের মোতায়েন করা হলেও অনেক ক্ষেত্রেই অশান্তি এড়ানো যাচ্ছে না। বরং টার্গেট করা হচ্ছে জওয়ানদেরই। দ্বিতীয় দফার ভোটে রাজ্যে মোতায়েন থাকবে ৬৫১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
তার আগে বড়সড় নির্দেশ কমিশনের। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর হামলা কোনওভাবেই মেনে নেবে না কমিশন। প্রয়োজনে আত্মরক্ষার্থে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারবেন জওয়ানরা। দরকার পড়লে গুলি চালাতেও পারেন তাঁরা। নির্বাচন কমিশনের তরফে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের এবার আরও সুরক্ষা তুলে দেওয়া হল। বৃহস্পতিবার রাজ্যে দ্বিতীয় দফার ভোট। ৪ জেলার ৩০টি আসনে হবে ভোটগ্রহণ। ৬৫১ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা তাকবে বাংলার দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে।
কমিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় দফার ভোটে পূর্ব মেদিনীপুরে থাকবে ১৯৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। পশ্চিম মেদিনীপুরে ২১০ কোম্পানি, বাঁকুড়ায় ১৭০ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন থাকবে। এছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৭২ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। দ্বিতীয় দফায় হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। এই কেন্দ্র থেকেই লড়াই করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিপক্ষে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী ও সংযুক্ত মোর্চার মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। অশান্তি এড়াতে বৃহস্পতিবার ২১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে নন্দীগ্রামের বুথে-বুথে।