রবিবার থেকে ভারত মহাসাগরে শুরু হয়ে ভারত-আমেরিকার যৌথ নৌ মহড়া। সোমবার এই মহড়া শেষ হবে। জানা গিয়েছে, দু দেশের পারস্পরিক সামরিক সহযোগিতাকে আরও সুদৃঢ় করে তুলতেই এই মহড়ার আয়োজন করা হয়।
নৌ মহড়া হলেও এই কর্মসূচিতে অংশ নেয় ভারতীয় বায়ু সেনাও। সেনার একাধিক যুদ্ধ বিমান এই মহড়ায় অংশ নেয়। এরফলে মার্কিন সেনার নানান খুঁটিনাটি কলা কৌশল ভারতীয় বায়ুসেনার সামনে আসবে বলেও মনে করা হচ্ছে। যাতে আখেরে লাভ হবে ভারতীয় সেনারই।
যদি এই সামরিক মহড়া নিয়ে প্রথম দিকে তীব্র আপত্তি তুলেছিল চিন। যদিও সম্প্রতিতে চিন আর কোনও মন্তব্য করেনি এ বিষয়ে। প্রসঙ্গত, ভারত মহাসাগরে নিজেদের দখলদারি মনোভাব দেখিয়ে শক্তি কায়েম করতে চায় চিন। সেখানে এই ধরণের যৌথ মহড়া যে বেজিংকে অস্বস্তিতে ফেলবে তা বলাই বাহুল্য।
এই যৌথ মহড়ায় ভারতের তরফে অংশ নিয়েছে শিবালিক ও টহলদারি বিমান ‘পি৮আই’ । অন্যদিকে মার্কিন বাহিনীর তরফে রয়েছে ‘ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্ট’ ক্যারিয়ার স্ট্রাইকার গ্রুপ। এই ক্যারিয়ার স্ট্রাইকার গ্রুপ যথেষ্ট শক্তিশালী। এটি আসলে একটি বিমানবাহী রণতরী। এর সঙ্গে রয়েছে অনেকগুলি ডেস্ট্রয়ার জাহাজ। যেগুলি আক্রমণ করতে সক্ষম। এছাড়া রয়েছে ফ্রিগেট, যেগুলি দ্রুত গতির যুদ্ধ জাহাজ। এছাড়া বহরে রয়েছে আরও জাহাজ।
উল্লেখ্য, চিন চাইছে ভারত মহাসাগরে তাঁদের প্রতিপত্তি বিস্তার করতে। আর তার এই আকাঙ্খায় অন্যতম বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে ভারত ও আমেরিকা। সম্প্রতি যে বিশেষজ্ঞরা জাতীয় সুরক্ষার দিকে নজর রাখছেন, তাঁরা জানিয়েছেন চিনকে পরবর্তীতে জলপথে হুমকি স্বরূপ প্রকাশ পেতে পারে। বিশেষত ভারত মহাসাগর পাশ থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে পারে চিনা সাবমেরিন বা জাহাজ।
আর তাই চিনকে রুখতে পরিকল্পনাও করে রেখেছে বাহিনী। যুদ্ধ জাহাজের পরিবর্তে এই মুহূর্তে সাবমেরিনকেই অন্যতম পছন্দ বলে জানাচ্ছে ভারতীয় নৌবাহিনী। ভারত মহাসাগরে চিনাদের অনুপ্রবেশ রুখতে এই সাবমেরিনগুলি প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে। পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিনগুলি দীর্ঘ সময় জলের ওপরে না এসেই নীচেই পেট্রোলিং-এর কাজ চালাতে পারে। এমনকি রাডারেও এটিকে নজরে পড়ে না। কোনও ভাবেই এই সাবমেরিনকে সনাক্ত করা যায় না, কারণ এগুলি সমুদ্রের অত্যন্ত গভীরে শান্তভাবে চলাচল করে।অন্ধ্রপ্রদেশে দু’টি বাসের সংঘর্ষ, bengali.hindusthansamachar.in,