•রঙে আবিরে মেতে ওঠার উৎসবের নাম হোলি হওয়ার পিছনে রয়েছে একটি গল্প ৷ পুরাণে বর্ণিত সেই গল্প অশুভ এর উপর শুভের জয়ের গল্প৷
•ভাগবত পুরাণের সপ্তম অধ্যায় অনুসারে হিরণ্যকশিপু নামে এক অসুর রাজা ছিলেন৷ তিনি চাইতেন অমরত্ব লাভ করতে এবং চাইতেন সবাই তাঁর পুজো করুক৷ সবাই তাঁর ভয়ে পুজো করলেও তাঁর পুত্র প্রহ্লাদ হিরণ্যকশিপুর পুজো করত না৷
•বরং প্রহ্লাদ ভগবান বিষ্ণুর পুজো করত৷ এই ঘটনায় হিরণ্যকশিপু খুব রেগে যান৷ তখন তিনি প্রহ্লাদকে পিষে মারার জন্য তাঁর হাতিকে পাঠান৷ কিন্তু প্রহ্লাদের আরাধ্য দেবতা বিষ্ণু তাঁকে তাঁর বাবার মারণ রোষ থেকে রক্ষা করেন৷ এতে হিরণ্যকশিপু আরও রেগে যান৷
•এবার রেগেমেগে প্রহ্লাদকে মারার জন্য তিনি তাঁর বোন হোলিকাকে ডেকে পাঠান৷ হোলিকার আর একটি বিশেষ ক্ষমতা ছিল ৷ হোলিকাকে আগুন কখনও পোড়াতে পারবে না৷
•সেই ক্ষমতার জোরেই সে প্রহ্লাদকে হত্যার ফন্দি আঁটেন ৷ ছোট্র প্রহ্লাদকে তাঁর সঙ্গে প্রার্থনার জন্য আগুনের মধ্যে এসে বসতে বলেন ৷ কিন্তু সে জানত না তাঁর তখনই কাজ করবে যদি সে একা আগুনে প্রবেশ করে ৷
•কিন্তু প্রহ্লাদ বিষ্ণুনাম করায় আগুনে তাঁর কোনও ক্ষতি হয় না ৷ অন্যদিকে হোলিকার ম্যাজিক কাজ না করায় আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় হোলিকা৷
•এইভাবেই হোলিকার পুড়ে যাওয়া থেকে এসেছে হোলিকা দহন আচার রীতি এবং অশুভর উপর শুভের বিজয় উদযাপন উৎসবই হল হোলি৷