ভারতে নতুন উদ্যমে শক্তি বৃদ্ধি করে ফিরে এসেছে করোনা সংক্রমণ। যাকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার নতুন প্রজাতি বা স্ট্রেন এর পিছনে দায়ী। কিন্তু এর উপসর্গ ও সক্রিয়তা এখনও অনেকটা অজানা। তবে করোনার বেশ কয়েকটি বিদেশি প্রজাতি ও ভারতীয় প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। যা আগের তুলনায় অনেক বেশি সংক্রমক। ফলে চিন্তা এখানেই। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ দেশের ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এই রাজ্যগুলিতেই মূলত করোনার বাড়বাড়ন্ত দেখা দিয়েছে। সূত্রের খবর, মূলত পাঁচটি বিষয়ে জোর দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব।
প্রতিদিন যত বেশি সংখ্যক মানুষের করোনা পরীক্ষা করা যায় সেটা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে রাজ্যগুলিকে। এর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে টেস্টিং কিট যোগানের কথাও বলা হয়েছে।
কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের ওপর জোর দিতে বলছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সেইসঙ্গে আইসোলেশন বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে। এর আগেও করোনা আক্রান্তদের চিহ্নিত করে তাঁদের আইসোলেশন করে সফলতা এসেছিল। সেইসঙ্গে তাঁদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণ (কন্টাক্ট ট্রেসিং) করে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। এবারও সেই পথেই হাঁটতে বলা হয়েছে রাজ্যগুলিকে।
সামাজিক সুরক্ষাবিধি কড়াভাবে বলবৎ করতে বলা হয়েছে। যে এলাকায় করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ছে, সেখানে স্থানীয় স্তরে কন্টেনমেন্ট জোন তৈরি করে কড়া হাতে করোনা মোকাবিলা করতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব। পাশাপাশি সমাজের সমস্ত স্তরেই করোনা সতর্কতা বৃদ্ধি ও মাস্ক স্যানিটাইজার ব্যবহারের প্রচার করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের (কো মর্বিডিটি আছে) চিহ্নিত করে দ্রুত টিকা দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে রাজ্যগুলিকে। ১ এপ্রিল থেকে সকল ৪৫ উর্দ্ধ ব্যক্তিদের করোনার টিকা কর্মসূচি শুরু হবে। যত বেশি সংখ্যক মানুষকে এর আওতায় আনা সম্ভব হয় সেটা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি প্রথমশ্রেণীর করোনা যোদ্ধাদের প্রতি আরও সহানুভূতিশীল হতেও পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব।