প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফরে রয়েছেন এবং আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোন থেকে এই এই সফর কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের ৫০ বছর পূর্তি হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমন্ত্রিত হয়েছিলেন। যদিও অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে আরো মজবুত করা নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের অন্যতম উদেশ্য।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যত সম্পর্ক উন্নতি হবেই ততই দুই দেশ আর্থিকভাবে লাভবান হবে। এ বিষয়ে আগেই জানিয়ে দিয়েছে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক। তবে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে লাগাতার বৃদ্ধি পাওয়া মজবুত সম্পর্ককে দুর্বল করার চেষ্টায় লেগে পড়েছে পাকিস্তান চীন। যার প্রমাণ স্পষ্টভাবেই ২৬ শে মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের আগেই বোঝা গেছে।
পাকিস্তানের উস্কানিতে বাংলাদেশের বেশকিছু কট্টরপন্থীগ্রুপ দরুনভাবে মোদী বিরোধিতা দেখিয়েছে। যা প্রধানমন্ত্রী মোদীর বাংলাদেশ সফরের উপর পাক ও চীনের হতাশাকে স্পষ্ট ব্যাক্ত করেছে। চীন অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশকে নিজের গ্রুপে টানার চেষ্টা চালিয়েছে।
যদিও ভারতের কূটনীতি এবং বাংলাদেশ সরকারের সক্রিয় সচেতনতার জন্য চীন সম্পূর্ণরুপে ব্যার্থ হয়েছে। বাংলাদেশের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে নরেন্দ্র মোদীকে নাম না করে চীন ও পাকিস্তানের উপর কড়া ভাষায় আকমন করতে দেখা গেছে। যা প্রমান করেছে ভারত বনাম চীন-পাকিস্তানের শীতল কূটনৈতিক লড়াই বেশ জোরালো হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ সরকার যেভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে স্বাগত জানিয়েছে তা রীতিমতো চীন- পাকিস্তানের মুখে সপাটে চড় মেরেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের অনুষ্ঠানে বলেন, যারা বাংলাদেশের অস্থিতকে নিয়ে ব্যাঙ্গ করেছিল তাদের মুখ পুড়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার বক্তব্যে বাংলাদেশের মানুষের উপর পাকিস্তানের নির্মম অত্যাচারের কথাও উল্লেখ করেন এবং পাক- চীনের গ্যাংকে আক্রমন করেন।