পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি আর তৃণমূলের মধ্যে রাজনৈতিক যুদ্ধ শেষ হওয়ার নাম নিচ্ছেনা। আজ বিজেপির সাংসদ, নেতা এবং কর্মীরা তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে কলকাতার রাস্তায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। বিজেপির এই বিক্ষোভ মিছিলে মমতা ব্যানার্জীর নির্দেশে পুলিশ বিজেপি কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ আর কাঁদানে গ্যাস ব্যাবহার করে। পুলিশের এই লাঠিচার্জে আহত হন বিজেপির নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়।
লালবাজারের দিকে আগ্রসর বিজেপির এই মিছিলের উপর পুলিশ জল কামানও প্রয়োগ করে। বিজেপির এই লালবাজার অভিযান ঘিরে দুপক্ষের মধ্যে চরম ধুন্ধুমার বাধে। বিজেপির এই মিছিলের জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ৩০০০ পুলিশ কর্মী, র্যাফ কুইক অ্যাকশন দল মোতায়েন করা হয়।
বিজেপির এই মিছিলের প্রধান উদ্দেশ্য হল, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়া। দিকে দিকে বিজেপির কর্মীদের হত্যা এবং রাজ্যে গণতন্ত্রের শ্বাসরোধ করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। গত শনিবার উত্তর ২৪ পরগণার সন্দেশখালিতে বিজেপির পতাকা লাগানো নিয়ে তৃণমূল বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। তৃণমূলের নেতা শেখ শাহাজানের নেতৃত্বে সেদিন বিজেপির চার কর্মীকে খুন করা হয়। এমনকি এখনো বিজেপির কয়েকজন কর্মী নিখোঁজ বলে খবর।
এছাড়াও রাজ্যের চারিদিকে বিজেপির কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে এই লালবাজার অভিযান ডাকা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। সন্দেশখালি ঘটনার পর আজ মালদার ইংলিশবাজার থেকে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু দেহ উদ্ধার করা হয়। বিজেপি এবং স্থানীয় মানুষদের অভিযোগ অনুযায়ী, মালদার বিজেপি কর্মীর হত্যার পিছনে তৃণমূলের হাত আছে। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।