লাফিয়ে লাফিয়ে রাজধানীতে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। দিল্লিবাসীর স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে বড় সিদ্ধান্ত নিল কেজরিওয়াল সরকার। শনিবার রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন জানালেন, দিল্লিতে করোনা টিকার জন্যে রেজিস্টার্ড নয় অথচ যোগ্য সকল ব্যক্তি প্রতিদিন দুপুর তিনটে থেকে রাত নয়টা মধ্যে টিকা দিতে পারবেন।জৈন জনিয়েছেন যে এই পরিষেবাটি এই মুহূর্তে সেই সব লোকেদের জন্যে যাদের অনলাইনে নাম রেজিস্টার্ড করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বা অ্যাপয়েন্টমেন্ট মিস করেছেন।
দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, অনেক লোকের করোনা টিকার জন্যে নাম রেজিস্টার্ড করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছিলো। অনেকেই আছে যারা প্রযুক্তির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে নি। এমনকি অনেকে নাম রেজিস্টার্ড হয়ে যাওয়ার পর বুঝতে পারছেন না আদৌ তাদের রেজিস্টার্ড হয়েছে কিনা ফলে তারা টিকাকরণের জন্যে কেন্দ্রে আসছেন না। সেই সমস্ত লোকেরা রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই টিকা দেওয়ার যেতে পারেন। তাদের প্রতিদিন দুপুর তিনটে থেকে রাত নয়টা মধ্যে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান যে, রাজধানীতে কোভিডের সংক্রমণের পরিমাণ বাড়ার সাথে সাথে এই মারণ ভাইরাসের মোকাবিলায় প্রতিদিনের পরীক্ষার সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত নতুন করে দিল্লিতে মোট করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ছুঁয়েছে ১,৫৩৪টি। ফলে রাজধানীতে বর্তমানে মোট অ্যাক্টিভ করোনা কেসের সংখ্যা দাঁড়াল ৬০৫১ টি।
শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্যানুযায়ী সারা দেশে করোনা সংক্রমণের গন্ডি পেরিয়েছে ৬০ হাজারের উপরে। যার ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১,১৯,০৮,৯১০। এই পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ১,৬১,২৪০ জনের। তবে গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৩৮৬ জন। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে মোট অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ছুঁয়েছে ৪,৫২,৬৪৭ টি। সম্পূর্ন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ১,১২,৯৫,৬৩৭ জন এবং এখনও পর্যন্ত করোনার টিকা পেয়েছেন ৫,৮১,৯, ৭৭৩ জন।অন্যদিকে গত চার মাস মহারাষ্ট্রে সংক্রমণের হার কিছুটা নিম্মমুখী থাকলেও গত ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে আক্রান্তের গ্রাফচিত্র ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে।