কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে ঘটনার ভয়াবহতা নিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। তিনি লিখেছেন, “এনআরএসে ডাক্তার নিগ্রহের ঘটনায় বাংলায় যে নৈরাজ্যের পরিবেশ তৈরি হয়েছে সেই দিকে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
রাজ্যের প্রায় সব মেডিক্যাল কলেজগুলিতে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন ইন্টার্ন, জুনিয়র ডাক্তাররা। আর অন্যদিকে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আহত ইন্টার্ন, রোগীদের অবস্থা ভয়ঙ্কর। সব মিলিয়ে রাজ্যের পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ।”
এদিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করেছিলেন অধীর। সেখানে সন্দেশখালিতে প্রাণহানির ঘটনায় বিজেপি তৃণমূল দু’পক্ষকে দায়ী করেছিলেন তিনি। ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে বিজেপি ও তৃণমূলের কাছে শান্তির আহ্বান করেছিলেন বহরমপুরের সাংসদ।
এনআরএস কাণ্ডের জেরে প্রতিবাদে আগামীকাল রাজ্যের সব হাসপাতালে ১২ ঘণ্টা পরিষেবা বন্ধ থাকবে। ফলে বুধবার শহর কলকাতায় চিকিৎসা পরিষেবায় টান পড়তে পারে।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার ট্যাংরার বাসিন্দা মহম্মদ সইদ শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগের অসুখ নিয়ে এনআরএস হাসপাতালে ভরতি হন। প্রথমে জেনারেল বেডে রেখেই তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। পরে স্থানান্তরিত করা হয় কার্ডিওলজি বিভাগে। সন্ধে সাড়ে ছ’টা নাগাদ মারা যান মহম্মদ সইদ। অভিযোগ, সোমবার আচমকাই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে এনআরএসের এক ইন্টার্নকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করেন রোগীর আত্মীয়রা।
এরপরই হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসক ও রোগীর পরিজনদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। যা হাতাহাতিতেও গড়ায়। বিনা কারণে আক্রমণের অভিযোগ তোলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। রোগীর আত্মীদের আঘাতে এক জুনিয়র ডাক্তার আহত হন। তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। শারীরিক অবস্থা গুরুতর।
এবার সেই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে তাঁর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন অধীর চৌধুরী।