সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) বিজেপি ফ্রেন্ডলি। সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের ফেসবুক লাইভে একথাই বললেন বিজেপি প্রার্থী স্বপন দাশগুপ্ত (Swapan Dasgupta)। জানান সৌরভ গোটা ভারতবর্ষে বাঙালির সম্মান। তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে এলে ভালই হত। তবে সৌরভ রাজনীতিতে যোগ না দেওয়ায় তাঁর প্রতি কোনও বিরূপ মনোভাব নেই। এরপরই তিনি সৌরভের ‘বিজেপি ফ্রেন্ডলি’ হওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, “সৌরভ ওয়ান ডাউনে নামবে, না ফোর ডাউনে, সেটা ওই ঠিক করুক।”
একান্ত সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সমালোচনা করেন স্বপন দাশগুপ্ত। তারকেশ্বরের বিজেপি প্রার্থী (BJP Candidate Tarakeswar) জানান, মুখ্যমন্ত্রী ১০ বছর সময় পেয়েছিলেন। এই সময়টা নয়ছয় করে দিলেন। নিজের স্তর নামিয়ে কাটমানি খেলেন। সমাজের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে দিলেন। চুরিকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা।
মোদি সরকারের দুর্নীতির “জিরো টলারেন্স” বলেই দাবি করেন স্বপনবাবু। তবে সবাই যে ‘ধোয়া তুলসীপাতা’ নয়, সেকথা স্বীকার করে জানান, ভোটের আগে অনেককেই দলে নিতে হয়। তবে বিজেপির উচ্চস্তরের পদে দাগীদের কোনও স্থান নেই বলেই দাবি করেন বিজেপি প্রার্থী।
এদিন বুদ্ধিজীবিদেরও একহাত নেন স্বপন দাশগুপ্ত। হুগলির (Hooghly) তারকেশ্বরে বসেই বিজেপি প্রার্থী মন্তব্য করেন, “ফ্যাসিজম বলে কিছু নেই। ওটা বাজে কথা। যাঁরা কফি হাউসে যান, সাবটাইটেল দেওয়া ফিল্ম দেখেন, তাঁরা নতুন কিছু দেখলেই ভয় পান। মনে করেন, তাঁদের আর কোনও গুরুত্ব থাকবে না।” তারকা প্রার্থীদের নিয়েও শুক্রবারের সাক্ষাৎকারে মতামত জানান স্বপন দাশগুপ্ত। জানান, তারকা মানেই তাঁদের মাথায় কিছু নেই সেকথা ভাবা ভুল। বেশি নীতি কিংবা পলিসির কথা বলতে না পারলেও বেশ গুছিয়ে সহজ কথা যশ, পায়েল, শ্রাবন্তীরা বলতে পারেন।
পশ্চিমবঙ্গে ভোটের ফলাফল কেমন হবে? সাক্ষাৎকারের শেষের দিকে এই প্রশ্নই করা হয়েছিল প্রবীণ সাংবাদিক, লেখক তথা বিজেপি প্রার্থীকে। উত্তরে, তাঁর দাবি দ্বিতীয় দফার পর থেকেই বিজেপির (BJP) ভোট হু হু করে বাড়বে। আর বাংলায় যদি পদ্ম শিবির ক্ষমতায় আসে তাহলে কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয় হয়ে ডাবল ইঞ্জিনের সরকার হবে। উন্নয়ন হবে এবং দুর্নীতিমুক্ত বাংলা হবে।