প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বারবার বলছেন, এ বার ভোট দেবেন নির্ভয়ে। আর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর স্পষ্ট কথা, ভোটের দিন তৃণমূলের একটা গুণ্ডাও রাস্তায় থাকবে না।
ব্যাপারটা যে শুধু মুখের কথা নয়, শুক্রবার অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে গেল। ২৭ মার্চ প্রথম দফায় ভোট গ্রহণ হবে পাঁচ জেলার মাত্র ৩০টি আসনে। কিন্তু এই ৩০টি আসনের জন্যই ৬৮৪ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করল নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ প্রতিটি বিধানসভা আসনের জন্য গড়ে ২২ কোম্পানি করে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এক কথায় এ হল বেনজির। বাংলায় এতো কঠোর নিরাপত্তায় ভোট কখনও হয়নি। এর সঙ্গে আবার থাকছে রাজ্য পুলিশও। তবে বুথের একশ মিটারের মধ্যে পুরো ব্যবস্থাপনাই আধা সামরিক বাহিনীর আওতায় থাকবে।
কমিশনের কড়াকড়ি নিয়ে ইতিমধ্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছে রাজ্যে শাসক দল তৃণমূল। বাম জমানায় অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের দাবিতে এক সময়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে হত্যে দিত তৃণমূল। যত বেশি সম্ভব আধা সেনা মোতায়েনের দাবি জানাত তারা। এখন সেই দাবি জানায় বিজেপি। পঞ্চায়েত ভোটে বাংলা কীভাবে পুড়েছিল তার পুরো রিপোর্টও রয়েছে কমিশনের কাছে।
এখন দেখে নেওয়া যাক কোন জেলায় কত আধা সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।–
বাঁকুড়া জেলায় প্রথম দফায় মাত্র ৪টি আসনে ভোট হবে। সে জন্য ৮৩ কোম্পানি আধা সেনা মোতায়েন করেছে নির্বাচন কমিশন।
ঝাড়গ্রামেও ৪ টি আসনে ভোট গ্রহণ হবে ২৭ মার্চ। সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে ১৪৪ কোম্পানি আধা সামরিক সেনাবাহিনী।
পশ্চিম মেদিনীপুরে এই দফায় ৬টি আসনে ভোট হবে। সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে ১২৪ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী।
এই দফায় পুরুলিয়ায় সব আসন তথা ৯টিতেই ভোট নেওয়া হবে। এবং এই দফার জন্য নির্বাচন কমিশন মোতায়েন করেছে ১২৪ কোম্পানি আধা সেনা।
সর্বোপরি পূর্ব মেদিনীপুরে ৭টি আসনে ভোটের জন্য ১৪৮ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করেছে নির্বাচন কমিশন।