রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়া আর দিন দিন সন্ত্রাস বেড়ে ওঠার অভিযোগে আজ লালবাজার অভিযান বঙ্গ বিজেপির। গত শনিবার উত্তর ২৪ পরগণার সন্দেশখালিতে হওয়া নরসংহারে ৪ বিজেপি কর্মীর মৃত্যু এবং বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী নিখোঁজ হওয়ার পর রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা প্রশ্নের মুখে। এমনকি যেই ততৃণমূল নেতা এই নরসংহারে অভিযুক্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়নি রাজ্য সরকার। উলটে বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। গতকাল পর্যন্ত এরাজ্যে ৭২ ঘন্টায় ৮ জন রাজনৈতিক বলি হয়েছেন।
ভারত বর্ষের কোন রাজ্যই এই বাংলার মত অশান্ত না। পশ্চিমবঙ্গ এখন মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী এর সম্পূর্ণ দায় রাজ্য বিজেপি এবং কেন্দ্র সরকারের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেছিলেন, ‘বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব এবং কেন্দ্র সরকার এরাজ্যে দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করছে।”
আরেকদিকে গতকাল NRS মেডিক্যাল কলেজের ঘটনাকে নিয়েও রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলেন, ‘তৃণমূলের কর্মীরাই হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে এই কাজ চালিয়েছে।” বিজেপি নেতা মুকুল রায় গতকাল একটি প্রেস কনফারেন্স করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে খুনি বলেন।
আজ বিজেপির এই লালবাজার অভিযান রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে শুরু হয়ে নির্মলচন্দ্র স্ট্রিট, বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট হয়ে লালবাজার পর্যন্ত যাবে। প্রশাসন এই মিছিল আটকাতে তৎপর। বিজেপির এই মিছিল রোখার জন্য মোতায়েন হয়েছে ৩০০০ পুলিশ কর্মী। এছাড়া রয়েছে মোবাইল ভ্যান, কুইক রেসপনস টিম, হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াডও।
বিজেপি সুত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই লালবাজার অভিযানে বিজেপির ১৮ জন সাংসদই উপস্থিত থাকবেন। মিছিলের নেতৃত্বে থাকবেন বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। প্রায় এক লক্ষ কর্মী এনে এই লালবাজার অভিযান সফল করতে পারে বিজেপি। রাজ্যজুড়়ে হিংসার আবহ তৈরি করেছে তৃণমূল। ভেঙে পড়েছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা। তাই প্রতিবাদ মিছিলের অভিমুখ লালবাজারের দিকে।