২৭ মার্চ, শনিবার রাজ্যে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ৷ তার আগে বদলি করা হল একাধিক জেলার আইপিএস, আইএএসকে৷ রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়ে বদলির কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের তরফে সচিব রাকেশ কুমার। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশ কার্যকর হবে।
জানা গিয়েছে, ডিসি সাউথ সুধীর নীলকান্তকে সরিয়ে আনা হল আইপিএস আকাশ মেঘারিয়াকে। এডিজি, পশ্চিমাঞ্চল সঞ্জয় সিংকে বদলি করা হয়েছে। তাঁর বদলে নতুন পদে এলেন আইপিএস ডক্টর রাজেশ কুমার। সরানো হয়েছে ডিইও, ঝাড়গ্রাম আয়েশা রানি, নতুন পদে জয়শী দাশগুপ্ত। ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জায়গায় আনা হয়েছে অরিজিৎ সিনহাকে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার কে কান্নানের বদলে নতুন পুলিশ সুপার করা হয়েছে দেবাশিস ধরকে।
বুধবারই পশ্চিমবঙ্গে নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ কমিশন জানিয়েছে বিধানসভা ভোট সংক্রান্ত কোনও কাজে যুক্ত থাকতে পারবেন না তিনি। এদিনই সন্ধ্যায় কমিশনের নির্দেশে মোতাবেত এই পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
সম্প্রতি কমিশনে রাজ্য পুলিশের একাধিক আধিকারিকের বিরুদ্ধে নালিশ করেছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তার মধ্যে অন্যতম রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ। তাঁর বিরুদ্ধে শাসকদলের হয়ে কাজের অভিযোগ করা হয়। এরপরই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল৷ অন্যদিকে, হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপার সৌম্য রায়ের স্ত্রী লাভলি মৈত্র সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হওয়ার পরই বিজেপি কমিশনে নালিশ জানায়। তারপরই অনির্বাচনী পদে সৌম্য রায়কে বদলি করেছে নির্বাচন কমিশন। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীন হেডকোয়ার্টার ছাড়তে পারবেন না তিনি। তারপরই সরানো হয় সৌম্যকে। তাঁর পরিবর্তে এসেছেন শ্রীহরি পাণ্ডে। উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে রাজ্য পুলিশে কর্মরত একাধিক শীর্ষ আইপিএস-কে বদলি করেছে কমিশন। রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র, এডিজি আইন শৃঙ্খলা জ্ঞানবন্ত সিংকে সরিয়ে দিয়েছে কমিশন।