নির্বাচনের মুখে তৃণমূলে ভাঙন অব্যাহত। বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি তথা কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূলের ছাত্রপরিষদের নেতা এবং ৫০০ জন কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে। ভোটের আগে কৃষ্ণনগরে শাসক দলে এই ভাঙন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের অস্বস্তি অনেকটাই বাড়িয়ে দিল।
মঙ্গলবার নিজের বিধানসভা কেন্দ্র কৃষ্ণনগর উত্তরে তৃণমূলের ভীত নাড়াতে সক্ষম হন বিজেপির প্রার্থী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায়। এদিন ওনার হাত ধরে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের নেতা এবং কর্মীরা গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেন। স্বভাবতই ভোটের আগে এই ভাঙন তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে তুলেছে।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতা-কর্মীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে মুকুল রায় বলেন, ‘ একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিদায় নিশ্চিত। এতদিন এটা আমরা বলতাম, এখন রাজ্যের মানুষ বলছে আর প্রমাণও করে দিচ্ছে।” তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখানো তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের নেতা বলেন, ‘২০০৮ সাল থেকে তৃণমূল করে আসছি। কিন্তু এখন এই দলটা আর দল নেই, দলটা একটি কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে।”
আর দু’দিন পর রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচন। আর এই নির্বাচনের আগেও রাজ্য জুড়ে দলবদলের পালা বজায় রয়েছে। মঙ্গলবার বীরভূমেও তৃণমূলে ব্যাপক ধস দেখা গিয়েছে। বীরভূম জেলার দুবরাজপুরে মঙ্গলবার তৃণমূলের দুই প্রাক্তন কাউন্সিলর সহ ৩৫০টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখায়।
বলে রাখি, কৃষ্ণনগর উত্তরে এবার ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায়কে প্রার্থী করা হয়েছে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে। আরেকদিকে ওনার প্রতিপক্ষে রয়েছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। কিছুদিন আগে এলাকার প্রচারে বেরিয়ে কৌশানী বলেছিলেন, তিনি মুকুল রায়কে হেভিওয়েট হিসেবে মানেন না। আর তিনি নিজের কেন্দ্র থেকে জয়ের প্রতি আত্মবিশ্বাসী।