কথা ছিল একটা ফোন করলেই পৌঁছে যাবেন বসিরহাটে। কিন্তু ৫টি তাজা প্রাণহানিও তাঁকে আনতে পারেনি শোকস্তব্ধ সন্দেশখালিতে।
তিনি বসিরহাটের সদ্য জয়ী সাংসদ অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। কোথাও স্বজন হারানোর বুকফাটা আর্তনাদ, কোথাও বা চাপা উদ্বেগ! ঘটনার পর থেকে যেন থমথমে গোটা বসিরহাট। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেবলমাত্র একটি ছোট্ট মেসেজ সংবাদমাধ্যমে ছেড়ে দিয়ে নিজের সাংসদ হওয়ার দায় সেরেছেন এই গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী।
আগামী ১৯ জুন ইস্তানবুলে বসছে নুসরাত ও নিখিল জৈনের নিকাহার আসর। ভাবি স্বামীর সাথে এখন প্রেমে মশগুল তিনি। তাই বসিরহাটের জনতাকে দেওয়া কথা পাক্কা রাজনীতিকের মতো ভুলে গিয়েছেন তিনি, এমনটাই অভিযোগ।
এমন সংকটপূর্ণ মুহূর্তে ‘টিকটক’ ভিডিও শেয়ার করেছেন তৃণমূল সাংসদ। সেই ভিডিওতে নুসরতের হবু বর নিখিলকে বলতে শোনা গিয়েছে “দিল কা দরওয়াজা খোল দিয়া… মেরে লাভস্টোরি মে লিড ওয়ালা রোল দিয়া…।” অভিনেত্রীর পার্কসার্কাসের ব্রড স্ট্রিটের বাড়িতে এখন সাজ সাজ রব। সেখানে সন্দেশখালিতে মৃত গরীব মানুষগুলোর জায়গা না থাকারই কথা, থাকেওনি। অথচ, বসিরহাটে সাড়ে তিন লক্ষ ভোটে হেরে বিজেপির ৫ জন সাংসদ এসেছিলেন, এমনটাই আলোচনা সন্দেশখালি জুড়ে। নুসরাতের যে নম্বর বসিরহাটের তৃণমূল নেতাদের কাছে রয়েছে তা সবসময় বন্ধ থেকেছে বলে অভিযোগ।
বসিরহাটের তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী মহলে আলোচনা, ভোট চাইতে এসে অনেক বড় বড় কথা বলেছিলেন নুসরাত। তার মধ্যেই ছিল “একটা ফোন করবেন চলে আসব।” দিদিও বলেছিলেন, “বাচ্চা মেয়ে ভালোভাবে কাজ করবে।” এ তো দেখছি জেতার ১৫ দিনের মধ্যেই বেপাত্তা হয়ে গিয়েছে। এখনও পাঁচ বছর বাকি রয়েছে!