রবীন্দ্রনাথ-সত্যজিতের নামে বিশ্বমানের পুরস্কার, ইস্তাহারে সংস্কৃতিতে বিশেষ নজর BJP’র

সোনার বাংলা গড়াই মূল লক্ষ্য। একুশে বঙ্গের বিধানসভার লড়াইয়ে নেমে বারবার একই কথা শোনা গিয়েছিল দিল্লির বিজেপির নেতৃত্বের গলায়। এবার এই ‘সোনার বাংলা’কে সামনে রেখেই নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করল বিজেপি (BJP)। নাম – ‘সোনার বাংলা সংকল্পপত্র ২০২১’। আর তাতেই অন্যান্য ক্ষেত্রের পাশাপাশি শিক্ষা এবং সংস্কৃতির জন্যও বিশেষ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হল। এছাড়া বাংলা ভাষা নিয়েও একাধিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে বিজেপির ইস্তাহারে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাত ধরে রবিবার সন্ধে ৬টা নাগাদ প্রকাশিত হল ইস্তাহার। তাঁর কথায়, ”নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিপত্রে আমরা বিশ্বাস করি না। এটা সংকল্প পত্র। ক্ষমতায় এলে সংকল্পগুলো পূরণ করার কাজ করব। ইস্তেহারের ভিত্তিতেই সরকার চলবে।” এরপরই শিক্ষা এবং সংস্কৃতি নিয়ে একাধিক ঘোষণা করেন।

একনজরে দেখে নেওয়া যাক, বাংলার শিক্ষা এবং সংস্কৃতি ক্ষেত্রে কী কী প্রতিশ্রুতি দিল বিজেপি:

১. বিশ্বের প্রতিভাকে সম্মান জানানোর জন্য নোবেল প্রাইজের আদলেই টেগোর প্রাইজ এবং অস্কারের আদলে সত্যজিৎ রায় অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার চালু করা হবে।
২. বাংলাকে ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসাবে গড়ে তুলতে ১১,০০০ কোটি টাকার সোনার বাংলা তহবিল স্থাপন করা হবে।
৩. বাংলার সংস্কৃতির প্রচারের জন্য সমস্ত রাজ্যের রাজধানী এবং বিদেশের নির্ধারিত কিছু জায়গায় সাংস্কৃতিক উৎকর্ষতা বৃদ্ধির জন্য গুরুদেব সেন্টার ফর কালচারাল এক্সেলেন্স বানানো হবে।
৪. বাংলার উৎকর্ষতা প্রদর্শনের জন্য কলকাতায় একটি বিশ্বমানের ‘সোনার বাংলা’ মিউজিয়াম তৈরি করা হবে।
৫. মহা ধুমধামে নেতাজির জন্ম বার্ষিকী হিসাবে পরাক্রম দিবস (২৩ শে জানুয়ারি) পালন করা হবে।
৬. রাজ্য জুড়ে নির্ভয়ে ও বিনা বাধায় সরস্বতী ও দুর্গা পুজা উদযাপন করা হবে।
৭. গঙ্গাসাগর মেলাকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রসার ও প্রচারের লক্ষ্যে ২,৫০০ কোটির তহবিল গঠন করে।
৮. পুরোহিত কল্যাণ বোর্ড প্রতিষ্ঠা এবং পুরোহিতদের প্রতি মাসে ৩,০০০ টাকা সাম্মানিক প্রদান।
৯. চৈতন্য মহাপ্রভু স্পিরিচুয়াল ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে চৈতন্য মহাপ্রভুর মতাদর্শ প্রচার।
১০. ৬০ বছরেরও বেশি বয়সের কীর্তনীয়াদের মাসিক ৩,০০০ টাকা পেনশন দেওয়া হবে।

১১. রাজ্যজুড়ে মন্দির গুলির মেরামত ও সংস্কারের জন্য ১০০ কোটি টাকার তহবিল।
১২. বিশ্বজুড়ে নেতাজি ও আজাদ হিন্দ ফৌজ এর ঐতিহাসিক যাত্রা প্রদর্শনের জন্য ১,০০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন।
১৩. তমলুকে তাম্রলিপ্ত জাতীয় মিউজিয়ামের প্রতিষ্ঠা।
১৪. বাংলাকে রাষ্ট্রসংঘের অন্যতম সরকারী ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দিতে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা।
১৫. সরকারের সকল দলিল, আদেশ এবং চিঠিপত্রগুলিতে বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক করা হবে।
১৬. ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার নামে একটি মিউজিয়াম, একটি স্মৃতিসৌধ এবং একটি বিগ্রহ প্রতিমা নির্মাণের জন্য ২৫০ কোটি টাকার তহবিল স্থাপন।
১৭. সোনারপুরে মহানায়ক উত্তম কুমার ফিল্ম সিটি প্রতিষ্ঠা করা হবে।
১৮. মাধ্যম যাই হোক, দশম শ্রেণি পর্যন্ত বাধ্যতামূলক করা হবে বাংলা ভাষাকে।
১৯. মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষার প্রশ্ন করা হবে বাংলা ভাষাতেও।
২০. এছাড়া সব বিশ্ববিদ্যালয়ে মনীষীদের জন্য চেয়ার থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.