অবশেষে নাগরিকত্ব নিয়ে মুখ খুললেন অমিত শাহ। ইশতেহার প্রকাশের দিনে জানিয়ে দিলেন, ক্ষমতায় এলেই নাগরিকত্ব পাবেন শরর্ণার্থীরা। একদিনে যেমন শরণার্থী নাগরিকত্ব অন্য দিকে অনুপ্রবেশ রুখতে কড়া পদক্ষেপ, অমিত বার্তায় উঠে এল এমনই প্রতিশ্রুতির ফোয়ারা। মতুয়ারা বহুদিন ধরেই নাগরিকত্ব নিয়ে সন্দিহান। এদিন শাহী বক্তব্যে তাঁদের জন্যেই রইল বরাভয়, রইল পাঁচ বছর শরণার্থীদের আর্থিক সাহায্যের আশ্বাসও।
রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে ইশতেহার প্রকাশ করল পদ্মশিবির। ইশতেহারের পোশাকি নাম সোনার বাংলা সংকল্প পত্র। সেখানেই উঠে এসেছে নাগরিকত্ব প্রসঙ্গ। অমিত শাহ ইশতেহার প্রকাশ করে বলেন, ৭০ বছর দেশে আছেন এমন শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে প্রথম মন্ত্রিসভাতেই। তিনি প্রতিটি শরণার্থী পরিবারকে পাঁচ বছর বার্ষিক দশ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। বলা রয়েছে, সিএএ চালু করা হবে। সেক্ষেত্রে দিনক্ষণটি বেধে দেওয়ার দায়িত্ব নিলেন অমিত শাহই।
প্রসঙ্গত নাগরিকত্ব নিয়ে মতুয়া মহলে ক্ষোভ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরেই। রাজ্যে ৮৪টি কেন্দ্রে এই মতুয়ারাই ভোটের নির্ণায়ক ফ্যাক্টর। লোকসভা ভোট থেকেই তাঁরা প্রতিশ্রুতি পেয়ে আসছেন, স্থায়ী নাগরিকত্বের। কিন্তু বিষয়টি তারিখ পে তারিখ হয়েই থেকে গিয়েছে। এই অবস্থায় মতুয়ারা প্রতিশ্রুতি শুনতে চাইছিলেন অমিত শাহের মুখে। শাহ ঠাকুরনগরে সভাও করেন। কিন্তু কার্যত তখনও দিনতারিখ বলতে পারেননি। বলেন কোভিড টিকাকরণ শেষ হলে মিলবে সিটিজেনশিপ। এই গড়িমসি নিয়ে বিজেপির মতুয়া মুখ, সাংসদ শান্তনু ঠাকুর যে খুব একটা খুশি নন তাও বোঝা গিয়েছিল তাঁর বডি ল্যাংগুয়েজেই।
অতঃপর এদিনের ঘোষণা। এরই পাশাপাশি সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলগুলিতে আরও জোর নজরদারির কথাও বলেন অমিত শাহ। বলা হয় ব্যাপক সিসিটিভি পর্যবেক্ষণ জোরদার করার কথাও। প্রসঙ্গত ওবিসি বর্গটিকে আরও বড় করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে বিজেপি। বলা হয়েছে তিলি মাহিষ্যদের এই বর্গে আনার কথা। মোদ্দা কথা, অব্রাহ্মণ হিন্দু ভোটব্যাঙ্কই তাঁদের পাখির চোখ।