“দিদি যাচ্ছে, দিদি যাচ্ছে, দিদি যাচ্ছে। আসল পরিবর্তন আসছে। বাংলার বিকাশের জন্য আসল পরিবর্তন দরকার। বাংলার গর্ব বাড়ানোর জন্য দরকার। বাংলায় এমন সরকার আসবে, যারা গরিবের সেবা করবে। গরিবের উপকার করবে। আসল পরিবর্তন এলে বাংলার সরকারের প্রতিটা পয়সা সাধারণ মানুষের কাছে এসে পৌঁছাবে। এই আসল পরিবর্তন বাংলায় বিজেপি (BJP) এনে দেখাবে। এবার নিশ্চয়ই আসছে বিজেপি।” বাঁকুড়ার সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায় আরও একবার প্রবল আত্মবিশ্বাসের সুর প্রতিধ্বনিত হল। জবাব দিলেন মমতার প্রতিটি ‘ব্যক্তিগত’ আক্রমণের। তীব্র শ্লেষে মমতাকে বিঁধে মোদি (Narendra Modi) বললেন, নিজের আসল রূপ আগে দেখালে ১০ বছর আগে আপনার সরকারই তৈরি হত না।
বাঁকুড়ার সভায় প্রধানমন্ত্রী আরও একবার ‘রাম নামে’ কার্যোদ্ধার করার চেষ্টা করলেন। বলে দিলেন, “বাংলার বাড়িতে-বাড়িতে রাম বেরবে। আদিবাসী সমাজের ভাইবোনেরা বনবাসের সময় প্রভু রামের সঙ্গে ছিলেন। এঁদের সঙ্গে রামের আত্মিক যোগ। ভাবুন দিদি এঁদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করেছেন? রামের নাম নিলে কী ব্যবহার করছেন। তোষণ আর ভোটব্যাংকের রাজনীতি আপনাকে কোথায় নিয়ে চলে গিয়েছে। দিদি আপনি নিজের আসল চেহারা দশ বছর আগে দেখালে বাংলায় কখনও আপনার সরকারই আসত না। এই হিংসা, অত্যাচার, এই উৎপাতই করার ছিল, তাহলে মা-মাটি-মানুষের স্লোগান কেন দিয়েছিলেন?”
এরপর সুর আরও চড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে শ্লেষে বিঁধে প্রধানমন্ত্রী বলছেন,”আরে দিদি, ও দিদি, আপনি ভাবতেন আপনি যা খুশি করবেন। আপনার কাছে কেউ জবাব চাইবে না। কিন্তু আজ গোটা বাংলা আপনার কাছে জবাব চাইছে। এখানে বিনিয়োগ কই? আপনি দশ বছরে খালি ঠুনকো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ১০ বছর ধরে অনেক মিথ্যাচার করেছেন। বাংলাকে নিয়ে দশ বছর খেলেও শান্তি হয়নি। এবার খেলা শেষ হবে। আপনাদের খেলার জন্য আমাদের অনেক নেতা শহিদ হয়ে গিয়েছেন। আর কত?” প্রধানমন্ত্রীর সাফ কথা, “এবার খেলা শেষ হবেই। দিদি যাচ্ছে, বিজেপি আসছে। আসল পরিবর্তন আসছে।”