২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে সবচেয়ে বড় ইস্যু কর্মসংস্থান’ । এটা দেশের বড় সমস্যা। তাই বেকার সমস্যা এই মুহূর্তে রাজ্যের শাসকদলের জন্য তো বটেই, নির্বাচনে যে সব রাজনৈতিক দল লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছে তাদের নির্বাচনে লড়াইয়ের হাতিয়ার । রবিবার বাঁকুড়ার সভা থেকে সেই “বেকার সমস্যা”কেই গুরুত্ব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে এই রাজ্যের নতুন ভোটার যারা বেকারও সেই যুবসমাজের প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বললেন , ”পূর্বপুরুষদের মতো ভুল করবেন না। নিজেদের ভবিষ্যৎ বরবাদ করতে না চাইলে বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকারকে রাজ্যে নিয়ে আসুন।”
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাঁকুড়ার সভায় মূলত নতুন ভোটারদের কাছে টানতেই এই বার্তা দিলেন। প্রধানমন্ত্রী বললেন, “আপনাদের আগে ৩-৪ প্রজন্ম বরবাদ হয়েছে। আর বরবাদ করবেন না। আপনাদের পূর্বপুরুষরা কংগ্রেস-সিপিএম এবং তৃণমূলকে টানা ৭০ বছর সময় দিয়েছে। এই তিন দলের ভুল নীতির জন্য বাংলার যে গতিতে উন্নয়ন হওয়ার কথা ছিল, সেটা হয়নি। বহু প্রতিভাবান যুবক বাংলা ছেড়ে চলে গিয়েছেন।” প্রধানমন্ত্রী এদিন বলতে চান, বিজেপিকে না আনলে বাংলার যুবসমাজের ভবিষ্যৎ অন্ধকারময় হয়েই থাকবে । নতুন ভোটারদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান, “আপনারা নিজেদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করবেন না। বাংলায় যদি দুর্নীতিমুক্ত শাসন ব্যবস্থা চান, তাহলে বিজেপি সরকার দরকার। বাংলায় বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠা হলে উন্নত মানের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হবে। রাজ্যের সব গ্রামে ফাইবার অপটিক্স বসানোর কাজ গতি পাবে । কুটির এবং ক্ষুদ্র শিল্পকে বরবাদ করেছে যে নীতি, সেই নীতির বিরুদ্ধে লড়াই হবে। রাজ্যে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন হবে।”
বাঁকুড়ার সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রবিবার ঘোষণা করে দিয়েছেন, “রাজ্যে বিজেপি সরকার তৈরি হলেই বাংলায় নতুন শিক্ষা নীতি চালু হবে। নিজের ভাষায় শিক্ষা পাবেন বাংলার পড়ুয়ারা। গরিবের ছেলে মেয়েরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হবে। মাতৃভাষায় তারা সব বিষয় পড়তে পারবে।” নরেন্দ্র মোদীর দাবি, তৃণমূল সরকারের ভ্রান্ত নীতির জন্যই রাজ্যে বেকারত্ব এত বড় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, “১০ বছরে রাজ্যে বিনিয়োগ আসেনি কেন? শিল্প কোথায়?” নরেন্দ্র মোদী বলেন, রাজ্যের বহু প্রতিভাবান যুবককে চলে যেতে হয়েছে অন্য রাজ্যে, এই রাজ্যে কাজ নেই তাই । বিজেপি এলে রাজ্যের যোগ্য ছেলে, মরিয়েরা রাজ্যেই চাকরি পাবে। তাই ভুল না করে যুব সমাজের কাছে নরেন্দ্র মদিন আহ্বান, “বিজেপি-কে ভোট দিন।”