ঠিক এক বছর আগে করোনা কাঁটায় ত্রস্ত হয়ে পড়েছিল গোটা দেশ। আর দেশজুড়ে কোভিড টিকাকরণ শুরু হওয়ার পরও যে হঠাৎ করে এভাবে সংক্রমণ ছড়াবে, তা হয়তো অনেকেই ভাবতে পারেননি। দেশজুড়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ঊর্ধ্বমুখী অ্যাকটিভ কেসে উদ্বগ্নি বিশেষজ্ঞরাও। ইতিমধ্যেই নতুন করে লকডাউন জারি হয়েছে বিভিন্ন শহরে। সংক্রমণ ঠেকাতে ফের লকডাউনের পথে হাঁটতে হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন কলকাতার স্বাস্থ্যবিদরাও।
রবিবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪৩ হাজার ৮৪৬ জন করোনা (Corona virus) আক্রান্ত হয়েছেন। যা গত চার মাসে সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ। ফলে দেশে মোট করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১৫ লক্ষ ৯৯ হাজার ১৩০। একদিনে মারণ ভাইরাস প্রাণ কেড়েছে ১৯৭ জনের। যা রীতিমতো চিন্তার। দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে মোট ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৭৫৫ জনের। একইসঙ্গে দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে দেশের বাড়তে থাকা অ্যাকটিভ কেস। বর্তমানে ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৮৭ জন করোনা রোগের চিকিৎসাধীন।
এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে সামান্য স্বস্তি একটাই। কোভিডকে হার মানিয়ে সুস্থ হয়ে উঠছেন বেশিরভাগ মানুষ। দেশে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন, ১ কোটি ১১ লক্ষ ৩০ হাজার ২৮৮ জন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন মাত্র ২২ হাজার ৯৫৬ জন। সংক্রমণ ঠেকাতে জোর কদমে চলছে টিকাকরণও। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে মোট ৪ কোটি ৪৬ হাজার ৩ হাজার ৮৪১ জনকে ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
দেশে বাড়তে থাকা সংক্রমণের কারণে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভ্যাকসিন এসে গিয়েছে বলে যে মাস্ক পরা কিংবা হাত স্য়ানিটাইজ করার মতো অভ্যাসগুলি ভুলে গেলে চলবে না, সে কথাই মনে করিয়েছিলেন মোদি। অবহেলা আর অসতর্কতাই যে নতুন করে বিপদ ডেকে আনছে, তা কোভিড গ্রাফেই স্পষ্ট।