ঘোষিত হল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর নতুন অখিল ভারতীয় অধিকারীদের নাম । যেখানে দায়িত্ব বেড়েছে দত্তাত্রেয় হোসাবলে ও অরুণ কুমারের । ব্যাঙ্গালুরুতে দুই দিনের অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার বৈঠক শেষ হল শনিবার। সেই সভায় অখিল ভারতীয় প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরকার্যবাহ দায়িত্বে নিযুক্ত হয়েছেন দত্তাত্রেয় হোসবলে। দত্তাত্রেয় ভাইয়াজী জোশীর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন । একই সঙ্গে অরুণ কুমারকে সহ-সরকার্যবাহ করা হয়েছে।
শনিবার, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) অখিল ভারতীয় প্রতিনিধিরা তাদের দায়িত্ব পালনের জন্য নতুন প্রতিনিধিদের বেছে নিয়েছেন। আরএসএস অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে দত্তাত্রেয় হোসাবলেকে সরকার্যবাহ নির্বাচন করার ঘোষণা করা হয় । এতে বলা হয়েছে, “দত্তাত্রেয় হোসাবলেজি সঙ্ঘের অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভায় সরকার্যবাহ পদে নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০৯ সাল থেকে তিনি সহ-সরকার্যবাহের দায়িত্ব পালন করে আসছেন । ”
কর্নাটকের সিমোগা জেলার স্বয়ংসেবক শ্রী দত্তাত্রেয় হোসবলে । তিনি ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদে যোগদান করার পর, ১৫ বছর তিনি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ১৯৭৫-১৯৭৭ সালের এমার্জেন্সির সময় জেপি আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন এবং প্রায় বাইশ মাস “মিসা” আইনে কারারূদ্ধ হয়েছিলেন। দত্তাত্রেয় হোসবোলে মাতৃভাষা কন্নড় ছাড়াও ইংরেজি, হিন্দি, সংস্কৃত, তামিল, মারাঠি প্রভৃতি এবং বহু ভারতীয় ও বিদেশী ভাষায় পন্ডিত্য জনপ্রিয়।
একই সঙ্গে, অরুণ কুমারকে সহ-সরকার্যবাহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যেখানে রামলালকে অখিল ভারতীয় সম্পর্ক প্রমুখ করা হয়েছে । সুনীল অম্বেকারকে অখিল ভারতী প্রচার প্রমুখ এবং অলোক কুমারকে অখিল ভারতী সহ-প্রচার প্রমুখ করা হয়েছে। বিজেপিতে সক্রিয় থাকা রাম মাধবকে আবার সংঘের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। তাঁকে সংঘের অখিল ভারতী কার্যকারিণী সভায় স্থান দেওয়া হয়েছে ।
সংঘের গঠনতন্ত্র অনুসারে সরকার্যবাহের পাশাপাশি অন্যান্য পদগুলিতেও প্রতি তিন বছর অন্তর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
অখিল ভারতীয় প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে নির্বাচন প্রক্রিয়ার পর সঙ্ঘের বিভিন্ন ভূমিকায় কারা থাকবেন একবার দেখে নেওয়া যাক –
• সরসঙ্ঘচলক – ডাঃ মোহন ভাগবত
• সরকার্যবাহ – দত্তাত্রেয় হোসাবলে
• সহসরকার্যবাহ – ডঃ মনমোহন বৈদ্য, কৃষ্ণ গোপাল, সি আর মুকুন্দা, অরুণ কুমার এবং রাম দত্ত চক্রধর
• শারীরিক প্রমুখ – সুনীল কুলকারনী
• সহ-শারীরিক প্রমুখ – জগদীশ প্রসাদ
• বৌদ্ধিক প্রমুখ – স্বন্ত রঞ্জন
• সহবৌদ্ধিক প্রমুখ-সুনীল ভাই মেহতা
• ব্যবস্থা প্রমুখ – মঙ্গেশ ভেন্ডে
• সহব্যবস্থা প্রমুখ – অনিল ওক
• সেবা প্রমুখ – পরাগ অভয়নকর
• সহ-সেবা প্রমুখ- রাজকুমার মাথলে
• সম্পর্ক প্রমুখ- রামলাল
• সহসম্পর্ক প্রমুখ- রমেশ পাপা ও সুনীল দেশপাণ্ডে
• প্রচার প্রমুখ – সুনীল আম্বেকার
• সহপ্রচার প্রমুখ- নরেন্দ্র ঠাকুর ও অলোক কুমার
প্রসঙ্গত, মধ্যবঙ্গ নামক একটি নুতন ভাগের ঘোষণা হল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের পক্ষ থেকে। দক্ষিণবঙ্গের নদিয়া বিভাগ, বীরভূম বিভাগ, বর্ধমান বিভাগ, বাঁকুড়া বিভাগ হুগলি ও তারকেশ্বর জেলা নিয়ে “মধ্যবঙ্গ” প্রান্ত হয়েছে। এই ভাগের প্রান্ত সঙ্ঘচালক হলেন মাননীয় অতুল কুমার বিশ্বাস। প্রান্ত কার্যবাহ হলেন শ্রী মনোজ চট্টোপাধ্যায়। প্রান্ত প্রচারক হলেন শ্রী কৃষ্ণ মন্ডল। এছাড়াও , দক্ষিণবঙ্গের প্রান্ত সঙ্ঘচালক হলেন মাননীয় জয়ন্ত রায় চৌধুরী। প্রান্ত কার্যবাহ শ্রী জিষ্ণু বসু।
প্রান্ত প্রচারক শ্রী জলধর মাহাত। সহ প্রান্ত প্রচারক শ্রী প্রশান্ত ভট্ট।