বিধাননগর নিয়ে বিপত্তি যেন পিছু ছাড়ছে না তৃণমূলের!
সোমবার দুপুরে বোর্ড মিটিং ডাকা হয়েছিল বিধাননগর কর্পোরেশনের সদর দফতরে। কিন্তু সেখানে উপস্থিতই হলেন না মেয়র সব্যসাচী দত্ত-সহ ২৫ কাউন্সিলর। ১৬ জন কাউন্সিলর গিয়েছেন ওই বৈঠকে। জানা গিয়েছে, তাঁদের নিয়ে বৈঠক করছেন কর্পোরেশনের চেয়ার পার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী।
তা হলে সব্যসাচী কোথায়?
তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, বৈঠকের পরে কৃষ্ণাদেবী সাংবাদিক সম্মেলন করলে তারপর সাংবাদিক সম্মেলন করবেন সব্যসাচী। অনুপস্থিত ২৫ জন কাউন্সিলর সব্যসাচীর সঙ্গেই আছেন কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়।
কয়েক মাস আগে থেকেই শুরু টানা পড়েন। সৌজন্যে বিজেপি নেতা মুকুল রায়। মতুয়া মহাসঙ্ঘের বড়মা বীণাপাণি দেবীর শেষকৃত্যের সন্ধেবেলা সব্যসাচীকে ফোন করে দুম করে তাঁর বাড়িতে চলে যান মুকুল। তার পরে লুচি-আলুরদমের খাওয়া নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে কম চর্চা হয়নি।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, ফিরহাদ হাকিমরা, সুজিত বসুর ক্লাব শ্রীভূমি স্পোর্টিং-এ সব কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করেন। সব্যসাচী গিয়ে সেখানে ভুলও স্বীকার করেন। তার পরে সারা লোকসভা ভোটে তাঁকে ময়দানে দেখা যায়নি। কিন্তু নিজের বিধানসভা রাজারহাট নিউটাউন থেকে বারাসতের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে লিড দিয়েছেন।
তার পরে কুণাল ঘোষদের ‘নবজাগরণ’-এও তাঁর নাম জড়িয়ে যায়। বৈঠক হয় তাঁর ওয়ার্ড অফিসে। তবে এ দিনের অনুপস্থিতিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এখন দেখার কী বলেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী। কী-ই বা বলেন সব্যসাচী। সাংবাদিক সম্মেলনে এর পরে যা বলবেন তাঁরা (যদি বলেন), তা এই প্রতিবেদনে আপডেট করা হবে।
সব দেখে অনেকেই বলছেন, উত্তর চব্বিশ পরগনার তৃণমূলে কী যেন লেগেছে। ও দিকে সন্দেশখালি, এ দিকে বিধাননগর!