লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্যে শুরু হয়ে গেছে দল বদলের পালা। ফোন ঘোষণা হওয়ার ১৭ দিনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে প্রায় লক্ষাধিক নেতা, কর্মী, সমর্থক যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। এর আগে তাঁরা অনিচ্ছা স্বত্বেও তৃণমূলে থাকতেন। কিন্তু এখন তাঁদের ভয় কেটে গেছে, রাজ্যে শাসক দল তৃণমূলকে শায়েস্তা করতে গেরুয়া শিবিরের অভূতপূর্ব উত্থান হয়েছে। এই কারণেই প্রতিদিনই রাজ্যে হাজার হাজার তৃণমূলের নেতা, কর্মীরা যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে।
এই ক্রমেই আজ কোচবিহারে বড়সড় ভাঙন দেখা দিলো তৃণমূল কংগ্রেসে। কোচবিহার জেলার বিজেপি সভাপতি মালতি রাভার হাত ধরে আজ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন ৩০ জন পঞ্চায়েত সদস্য। কোচবিহার পানিশালা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭ জন পঞ্চায়েত সদস্যর মধ্যে প্রধান মঞ্জু বর্মন কার্জি সহ ১০ জন পঞ্চায়েত সদস্য, মাথাভাঙ্গার লতাপোতা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৮ জন পঞ্চায়েত সদস্যের মধ্যে প্রধান বিনতা রায় সহ ৯ জন পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপিতে যোগ দেন।
এছাড়াও কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গার রুইডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯ জন সদস্যের মধ্যে উপ প্রধান বিমল দেব সিংহ সহ ১১ জন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপিতে যোগ দেন। আগামী কাল কোচবিহারের আরও কয়টি পঞ্চায়েত থেকে তৃণমূল ছেড়ে সদস্যরা বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে।
তাছাড়াও বিগত কয়েকদিনে পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫৬ জন পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্যত দখল নিয়েছে বিজেপি। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি মালতি রাভা বলেন, ‘গত কয়েক দিনে ২২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান সহ সংখ্যা গরিষ্ঠ পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপি দলে যোগ দিয়েছেন।”