কাশ্মীরে আরও ৪০০ বাংকার বানানোর অনুমতি পেল সেনাবাহিনী। পুঞ্চ এবং রজৌরি সেক্টরে এই বাংকারগুলো তৈরি হবে। শনিবার সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত উপত্যকার শীতকালীন রাজধানী জম্মুতে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি সেনাকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেনার আধিকারিকদের কাছ থেকে গোটা পরিস্থিতির খোঁজ নেন। বৈঠক করেন সেনাবাহিনীর ১৫ কর্পসের 48তম কম্যান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কানওয়ালজিৎ সিং ধিঁলোর সঙ্গে।
সেনাপ্রধানকে ধিঁলো জানিয়েছেন, সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো দরকার। একদিকে যখন সমঝোতা এক্সপ্রসের চাকা ফের গড়ানো শুরু করছে, সেই সময় কাশ্মীর সীমান্তে গুলিবর্ষণ করে চলেছে পাকিস্তানের সীমান্তরক্ষীরা। তাতে ভারতের বেশ কয়েকটি বাংকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াই নয়, পাকিস্তানের সীমান্তরক্ষী এবং সেনার মিলিত বাহিনীর গোলায় বহু সাধারণ মানুষও প্রাণ হারিয়েছেন। এমনকী, শিশুদেরও ছাড়ছে না পাকিস্তানের রক্ষীরা।
বিশেষ করে পুঞ্চ এবং রজৌরি সীমান্তেই হামলাগুলো বেশি হচ্ছে বলে রাওয়াতকে জানিয়েছে সেনাবাহিনীর নর্দান কম্যান্ড। তার প্রেক্ষিতে এই সব নতুন বাংকার তৈলির সিদ্ধান্ত বলে সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে। সেনা সূত্রে আরও খবর, শুধু বাংকারের সংখ্যা বৃদ্ধি করাই নয়, কাশ্মীরে সেনার সংখ্যাও পরিস্থিতি বিচার করে বাড়াচ্ছে ভারত। এর পাশাপাশি, বায়ুসেনাও কাশ্মীরকে ঘিরে তাদের ‘গতিবিধি’ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেই সেনা সূত্রে খবর।