মোদীর সভার আগের রাতেই খড়গপুরে বিজেপির পোস্টার, হোর্ডিং ছেঁড়া ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শনিবার খড়গপুর বিএনআর ময়দানে সভা নরেন্দ্র মোদীর। শুক্রবার রাতে সভামঞ্চের পিছনে থাকা প্রধানমন্ত্রীর পোস্টার কেউ বা কারা ছিঁড়ে ফেলে বলে অভিযোগ। বিজেপির তরফে এই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূলের কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে। যদিও বিজেপির তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
খড়গপুর সদর বিধানসভা কেন্দ্রে এবারের ভোটে বিজেপির বাজি তৃণমূল ছেড়ে সদ্য দলে নাম লেখানো অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। দিন কয়েক আগেই হিরণের সমর্থনে খড়গপুরে রোড শো করে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এ বার পালা মোদীর।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার খড়গপুরের বিএনআর ময়দানে মোদীর সভায় পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার মোট ১৯ বিজেপি প্রার্থীই হাজির থাকবেন। দলের প্রধান সেনাপতির সভা ঘিরে তৎপরতা তুঙ্গে রেলশহরে। মোদীর সভায় লক্ষাধিক কর্মী-সমর্থকের জমায়েতের টার্গেট বিজেপি জেলা নেতৃত্বের। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তো বটেই লাগোয়া ঝাড়গ্রাম জেলা থেকেও মোদীর সভায় হাজার-হাজার কর্মী সমর্থক ভিড় জমাচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রেলশহরের বিএনআর ময়দানে সভামঞ্চের পিছনের দিকে নরেন্দ্র মোদীর ছবি-সহ পোস্টার লাগানো ছিল। শুক্রবার গভীর রাতে সেই রোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। এদিন সকাল হতেই মাঠে জড়ো হন বিজেপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। পোস্টার ছেঁড়ার ঘটনাটি তাঁরাই প্রথমে দেখতে পান। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি নেতৃত্ব। এলাকার তৃণমূলের কর্মীদের বিরুদ্ধেই পোস্টার চিঁড়ে ফেলার অভিযোগ এনেছে বিজেপি। যদিও শাসকদলের তরফে তাঁদের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
বিজেপির পাখির চোখ একুশের বিধানসভা ভোট। একুশের ভোট গেরুয়া শিবিরের কাছে প্রেস্টিজ ফাইট। বাংলা দখলে মরিয়া পদ্ম ব্রিগেড। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও খড়গপুর শহরের বিএনআর ময়দানেই সভা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। বঙ্গ ভোট এবার আট দফায়। তার আগে গোটা রাজ্যে প্রচারে ঝড় তুলতে চেষ্টার কোনও খামতি রাখছে না পদ্ম শিবির। দলের রাজ্য নেতাদের পাশাপাশি প্রতিদিন বিজেপির কেন্দ্রীয় হেভিওয়েট নেতারা বাংলায় ভোটের প্রচারে আসছেন। পালা করে রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে আসছেন মোদী-শাহ-নাড্ডারা।