বিধানসভা নির্বাচন এসে দরজায় কড়া নাড়ছে। আর দিন কয়েকের মধ্যে শুরু হচ্ছে নবান্ন দখলের লড়াই। আর এমন এক পরিস্থিতিতে সারদা, নারদা তদন্তে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলছে নানা শিবির। দিন কয়েক আগেই ফের একবার তৃণমূল নেতা তথা কামারহাটির দলীয় প্রার্থী মদন মিত্রকে তলব করেছিল ইডি৷ ১৮ মার্চ ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হলেও প্রচারের ব্যস্ততায় যেতে পারেননি কামারহাটির তৃণমূল প্রার্থী৷ কিন্তু এদিনই হাজির হয়েছেন মদন মিত্র। আর এদিন সেই সারদাকাণ্ডেই রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকে ডেকে পাঠাল ইডি। তাঁকে আগামী ২৫ মার্চ ইডির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তাঁকে আগামী ২৫ মার্চ ইডির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে সারদাকাণ্ডে সিবিআই অফিসারদের জেরার মুখে পড়েছিলেন রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা। তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছিল। এবার তাঁর ডাক পড়ল ইডির কাছে। ইডি সূত্রে খবর, সারদা তদন্তে একটি সিডি হাতে আসে তদন্তকারীদের। তাতে দেখা গিয়েছে, সারদার একটি অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন সুরজিৎ বাবু। তখন তিনি অবশ্য ‘রিটায়ার্ড’ আইপিএস নন। রাজ্যের পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ সব পদে আসীন ছিলেন তিনি। পুলিশের পদাধিকারী হয়ে সারদার অনুষ্ঠানে তিনি কেন গিয়েছিলেন, সেই বিষয়টি নিয়ে তাঁর থেকে জানতে চাইতে পারেন তদন্তকারীরা।
সম্প্রতি তৃণমূল নেতা সমীর চক্রবর্তী সারদা কাণ্ডে ইডি দফতরে হাজিরা দেন৷ দিন কয়েক আগে আর এক তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকেও একাধিকবার হাজিরা দিতে হয় ইডি দফতরে৷ অপরদিকে, আইকোর মামলায় তলব করা হয়েছিল মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। আইকোরের এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পার্থ। সেই বিষয়টি নিয়েই তাঁকে তলব করা হয়।
অপরদিকে, সারদা কাণ্ডে জেল থেকে জামিনে মুক্ত হওয়ার পরেও একাধিকবার ইডি এবং সিবিআই মদন মিত্রকে তলব করেছে৷ প্রত্যেকবারই হাজিরা দিয়েছেন তৃণমূল নেতা৷ এবার প্রার্থী হওয়ার পর ফের নির্বাচনের আগে ইডি তাঁকে ও অন্যান্য নেতাদের তলব করায় বিষয়টি অন্য মাত্রা পেয়েছে৷ কারণ তৃণমূল বার বারই অভিযোগ করেছে যে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে৷ বিজেপি অবশ্য সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।