সীমান্তের ওপারে চিনের খবরদারির খবর প্রায়ই সংবাদ শিরোনামে জায়গা করে নেয়। এই বিষয়ে বেশ উদ্বিগ্ন ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই প্রেক্ষিতেই এবার বৈঠকে বসতে চলেছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব জেনারেল লয়েড অস্টিন।
তবে চিন ছাড়াও এই আলোচনায় উঠে আসবে আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়টি। শুক্রবার বৈঠকে বসতে চলেছেন তাঁরা। মার্চের ১৯ তারিখ ভারতে আসছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব। ১৯ থেকে ২১শে মার্চ ভারত সফর করবেন তিনি বলে সূত্রের খবর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর কোনও মার্কিন আধিকারিকের এই প্রথম ভারত সফর। ফলে এই বৈঠকে নজর রয়েছে বিশ্বের, বিশেষত বেজিংয়ের।
চিনের আধিপত্য খর্ব করতে ইতিমধ্যে কোয়াড সম্মেলনে মিলিত হয়েছে চার দেশ, যার মধ্যে অন্যতম ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কোয়াড সম্মেলনের হাত ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ় হচ্ছে। দিন কয়েক আগে, এমনই মন্তব্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রাষ্ট্রদূত তরণজিত সিং সান্ধুর।
সান্ধুর দাবি কোয়াড সম্মেলনে যেভাবে চার দেশ হাতে হাত রেখে বিভিন্ন লেনদেনে সম্মত হয়েছে, তাতে নতুন আশার আলো দেখা দিয়েছে। বিশ্ব রাজনীতির মানচিত্রে নয়া সমীকরণ দেখা দিয়েছে।
নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটনের সম্পর্ক আরও গভীরে যাচ্ছে, যা দুদেশের পারস্পরিক সম্পর্ককে অন্য মাত্রা দেবে।
কোয়াড শীর্ষ সম্মেলনের সদস্য দেশগুলি হল ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া। সান্ধু জানান, কোয়াড এমন একটা প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সহমত পোষণ করা বন্ধুস্থানীয় রাষ্ট্রগুলি একত্রিত হতে পেরেছে।
এই প্রথম চার দেশ একত্রে সম্মেলনের আয়োজন করে। যদিও ২০২০ সালে প্রতিটি দেশ আলাদা আলাদা ভাবে বৈঠক করেছিল। তবে এক ছাতার তলায় এই প্রথম বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এই চারটি দেশের লক্ষ্য ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকাকে কোনও নির্দিষ্ট দেশের, বিশেষত চিনের কবলমুক্ত রাখা।
ওয়াশিংটন পোস্টে এই যৌথ বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে “Over the course of these past months, each of us has grieved the suffering that our people and the world have endured. But in this dark hour, our partnership offers a spark of hope to light the path ahead,”।