সন্দেশখালির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নন্দীগ্রামের তুলনা করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। রবিবার রাতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই দাবি করেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “শনিবার সন্ধ্যায় সন্দেশখালি থানার অন্তর্গত এলাকায় তৃণমূল ব্লক সভাপতি শেখ শাহজাহানের নেতৃত্বে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পাঁচজন বিজেপি সমর্থকদের গুলি করে খুন করা হয়েছে।” তাঁর আরও দাবি, দুটি মৃতদেহ পাওয়া গেলেও অন্য তিনটি মৃতদেহ লুকিয়ে রেখেছে শাসক দল।
এই প্রসঙ্গ টেনে মুকুল বলেন, “নন্দীগ্রামে যেভাবে সিপিএম মৃতদেহ লুকিয়ে রেখেছিল। এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ঠিক একই কাজ করছে। নন্দীগ্রামে নিখোঁজ ৫৬ জন মানুষ যেমন আজ ফিরে আসেনি। সন্দেশখালিতেও আমরা তেমনটা আশঙ্কা করছি।” বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে এদিন সংসদীয় প্রতিনিধি দল সন্দেশখালি যায়।
মৃত বিজেপি কর্মীদের মৃতদেহ কলকাতায় আনার চেষ্টা হলে প্রশাসন তার অনুমতি দেয়নি বিজেপিকে। তা নিয়ে খড়গহস্ত হল মুকুল। তিনি বলেন “আমার দলের কর্মী-সমর্থকদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের কাজ। তাদের মৃতদেহ কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা একমাত্র রয়েছে আমাদের দলের।
কিন্তু এখানে পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে আমাদের কর্মীদের তাদের মৃতদেহ কলকাতায় আনতে দেওয়া হল না।” সিপিএমের মতোই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বাংলায় গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন বলেও তোপ দাগেন মুকুল।