বাড়ছে সংক্রমণ। বুধবার নয়া রিপোর্ট প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এদিন স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানান, দেশের ১৬টি রাজ্যের ৭০টি জেলায় ১৫০ শতাংশ বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ আক্রান্তই মহারাষ্ট্রে।
গত ১৫দিনে ফের নতুন করে করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। প্রেস বিবৃতিতে মন্ত্রক জানিয়েছে মহারাষ্ট্র করোনার সেকেন্ড ওয়েভের সূচনায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। এও জানানো হয়, করোনা ট্র্যাক, পরীক্ষা, আইসোলেট ও কোয়ারেন্টাইনের ক্ষেত্রে প্রচেষ্টা খুব সীমাবদ্ধ। সাধারণ মানুষ অনেক সময়ই কোভিডের নিয়ম মানছে না। গ্রাম ও শহর, দুক্ষেত্রেও একই দৃশ্য দেখা গিয়েছে।
গত সপ্তাহে কেন্দ্রের তরফে একটি টিম পাঠানো হয়েছিল মহারাষ্ট্রে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ মহারাষ্ট্রের মুখ্য সচিবকে একটি চিঠিও লেখেন। করোনা সংক্রমণ যেভাবে দ্রুতহারে এই রাজ্যে বৃদ্ধি পাচ্ছে তা দেখতেই কেন্দ্রীয় দলটি এসেছিল। তারপর কেন্দ্রীয় দলের পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করেই চিঠিটি লেখা হয়। চিঠিতে কিছু সুপারিশও করা হয় রাজ্যকে।
এদিকে, বুধবার গোটা দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, কোনওভাবেই দেশে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ ছড়িয়ে পড়তে দেওয়া যাবে না। তবে আশঙ্কা বাড়িয়ে দেশজুড়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। মহারাষ্ট্র, কেরালা, কর্নাটক-সহ একাধিক রাজ্যের সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি জেলায় জারি করা হয়েছে লকডাউন।
গত বছর মার্চ মাসে প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে করোনা নিয়ে বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এ বছর জানুয়ারিতে তিনি রাজ্যগুলির সঙ্গে টিকা নিয়ে বৈঠক করেন। এরপর বুধবার প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি রাজ্যের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। যদিও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যের তরফে কেন্দ্রকে জানানো হয়েছিল ভোটের আগে যেন রাজ্যে টিকাকরণ করা হয়। সবাই যাতে করোনা টিকা পান সেই সম্পর্কে কেন্দ্রকে চিঠিও দিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কিন্তু অভিযোগ কেন্দ্র সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। তাই এদিন উপস্থিত ছিলেন না মমতা।