করোনাকাল পেরিয়ে প্রথম বিদেশ সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে আগামী ২৬ মার্চ তিনি ঢাকায় আসছেন। জানা গিয়েছে, মোদির দু’দিনের সফরের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ২৭ মার্চ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) সঙ্গে একান্ত বৈঠকে বসবেন। মুখোমুখি দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে কথা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে খবর সূত্রের।
হাতে এখনও প্রায় সপ্তাহ দুয়েক সময়। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমন ঘিরে বাংলাদেশে (Bangladesh) সাজসাজ রব পড়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন সোমবার রাজধানী ঢাকায় (Dhaka) ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন। তিনি বলেন, ”বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সব ইস্যুতে আলোচনা হবে। মোদির সফরে ভারতের সঙ্গে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে।”
তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশ এখনও আশাবাদী। সেকথা উল্লেখ করে এ কে আবদুল মোমেন আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যা যা আলোচনা হবে সেই বিষয়গুলি মোটামোটি স্থির করা হয়েছে। এর মধ্যে অবশ্যই তিস্তা চুক্তির বিষয়টি থাকবে বলেই ইঙ্গিত বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর। সেসব যাতে বলবৎ থাকে, প্রয়োগে যাতে অসুবিধা না হয় সেইসব ইস্যু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তুলে ধরতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছে। বিদেশমন্ত্রী বলেন, ”ভারতের সঙ্গে আমাদের আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু জল এবং কমার্স মানে বাণিজ্য। আমাদের সচিব পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়াও আমাদের বড় ইস্যু সীমান্তে হত্যা, সন্ত্রাস। সেটা আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।”