গুরুতর অভিযোগ। পাকিস্তানি চরের হাতে সেনার গুরুত্বপূর্ণ ও গোপন তথ্য তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ভারতীয় সেনা জওয়ানের বিরুদ্ধে। ওই সেনা জওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি চরকে গোপন তথ্য তথ্য সরবরাহ করত ওই জওয়ান।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর রবিবার অভিযুক্ত জওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত ২২ বছরের আকাশ মাহারিয়া রাজস্থানের শিকর জেলার বাসিন্দা। তিনি কর্মসূত্রে সিকিমে থাকতেন। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তিনি ওই পাক চরের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও পাক চরের কাছে ফাঁস করেন তিনি বলে অভিযোগ। সেই চ্যাটের বিস্তারিত তথ্য হাতে পান গোয়েন্দারা। শুরু হয় তদন্ত।about:blank
ওই ব্যক্তিকে দ্রুত গ্রেফতার করা হয়। কার সাথে তিনি তথ্য শেয়ার করেছেন, কী কী তথ্য পাচার করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ধৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ধরণের ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও একাধিক বার পাক চরের কাছে তথ্য পাচারের অভিযোগ উঠেছিল। সেদিকে নজর রেখেই নিরাপত্তা আরও আটোসাঁটো করা হয় কেন্দ্রের তরফে।
২০২০ সালের শেষের দিকে ভারতীয় সেনার জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্র। জানানো হয় সোশ্যাল মিডিয়া, ই কমার্স সহ মোট ৮৯টি অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে না। সেনাবাহিনীর জওয়ানদের জন্য এই বিশেষ নির্দেশিকা দেওয়া হয়।
এতে ছিল ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মত জনপ্রিয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। তালিকায় রাখা হয় নিষিদ্ধ টিক টক, ট্রু কলারের মত অ্যাপও। এইসব অ্যাপের মাধ্যমে ভারতীয় সেনার স্পর্শকাতর তথ্য পাচার হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় বলে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ভারতীয় সেনার সদস্য সংখ্যা অন্তত ১৩ লক্ষ। তাঁদের প্রত্যেককেই জরুরি ভিত্ততে এইসব অ্যাপগুলি ডিলিট করতে বলা হয়। আগেও এইসব অ্যাপের মাধ্যমে শত্রুপক্ষের কাছে ডেটা পাচার হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তাই এবার কড়া নির্দেশিকা দেওয়া হয়। অ্যাপ ডিলিট না করতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানায় ভারতীয় সেনা।