২০১৪ সালের পর ২০১৯ সালেও হিন্দু ভোটের উপর ভিত্তি করে নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সরকার ক্ষমতায় ফিরে এসেছে। তবে এখন বিজেপির লক্ষ আগত ৫০ বছর, তাই হিন্দু ভোটের সাথে সাথে যাতে মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক ধরে রাখা যায় তার কাজ শুরু হয়ে গেছে। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে থাকা কেন্দ্র সরকার ৫ কোটি মুসলিম ছাত্রকে প্রধানমন্ত্রী ছাত্রবৃত্তি যোজনার অন্তর্ভুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে ২৫ লক্ষ মুসলিম যুবককে টেকনিক্যাল ট্রেনিং দিয়ে তাদের রোজকার করার উপযুক্ত করে তোলার পরিকল্পনা সামিল রয়েছে।
বিজেপির দাবি তারা মুসলিম মেয়েদের সশক্তিকরণ করবে এবং একইসাথে মুসলিম ছেলেদের এগিয়ে নিয়ে যেতে এই প্রকল্পের ব্যাবস্থা করেছে। ৫ কোটি মুসলিম ছাত্র ছাত্রীকে স্কলাশিপ দেবে মোদী সরকার। এর মধ্যে ৫০% মুসলিম মেয়ে ও বাকি ৫০% মুসলিম যুবকরা পাবে। তবে মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের উপর অনেকে ক্ষোভ প্ৰকাশ করেছে। অনেকে বলেছেন, সবকা সাথ সবকা বিকাশ করতে গেলে শুধু মুসলিমদের জন্য কেন স্কলারশিপ ? গরিব হিন্দু ছাত্রছাত্রীরা কি দোষ করলো?
যারা আর্থিকভাবে দুর্বল তাদের জন্য স্কলারশিপ চালু করা উচিত, মুসলিম দেখে স্কলারশিপ দেওয়া সম্পূর্ণরূপে অন্যায়। প্রসঙ্গত জানিয়ে দি, ভারতে মুসলিমরা দ্বিতীয় সংখ্যা গরিষ্ঠ কিন্তু বৌদ্ধ, জৈন,শিখ ইত্যাদি আসল সংখ্যালঘুদের বাদ দিয়ে সকলে মুসলিমদের সংখ্যালঘু তকমা দিয়ে রাখতে চাই। ভোট ব্যাঙ্ক বজায় রাখতে সমস্থ রাজনৈতিক দল মুসলিমদের সংখ্যালঘু বলে দাবি করে। কিছুজন বলেছেন, ক্ষমতায় লোভ অনেক বড় বড় দলকে তাদের নীতি থেকে সরিয়ে দিয়েছে আর বিজেপির ক্ষেত্রেও সেটাই হচ্ছে। যে বিজেপি একদিন সবকা সাথ সবকা বিকাশের কথা বলতো তারাই এখন মুসলিম তোষনের পথে নেমে পড়েছে। হিন্দুদের থেকে ট্যাক্স নিয়ে দু দু বার ভোট নিয়ে এখন মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক করার চেষ্টা করছে বিজেপি এমন অভিযোগ তুলে অনেক হিন্দুত্ববাদীরা নিন্দায় সরব হয়েছে।