২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে একদিকে রাজ্যের রাজনৈতিক দল অন্য দিকে রাজ্যের সাধারণ মানুষ সবারই উদ্বেগের অন্ত নেই। ২০১১-র সেই পরিবর্তনের আবহে রাজ্যে যে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে আবার সেই আবহ তৈরী হচ্ছে। রাজ্যের শাসক দলের কাঁধে নিঃশ্বাস ফেলছে বিজেপি। এদিকে যাদের এতদিন রাজ্যের শাসক দল বলতো দূরবীন দিয়ে দেখতে হয় বলে কটাক্ষ করতো , সেই বাম, কংগ্রেস এবার আবার রাজ্যে তাদের শক্তি প্রকাশ করতে শুরু করেছে। আর এই যখন রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আবহ তখন নির্বাচনে অশান্তি হতেই পারে। তাই এই অশান্তির আশংকা থেকেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন ঠিক করেছে রাজ্যের ৮ দফা নির্বাচনে এবার রাজ্যে সাকুল্যে প্রায় হাজার কোম্পানি সেনা মোতায়েন করে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আজ থেকে ঠিক ১৩দিন বাকি রয়েছে রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচন শুরু হতে। এরই মধ্যেই রাজ্য জুড়ে চলছে সেনা টহল। শুধু জেলায় নয়,শান্ত কলকাতায়ও চলছে সেনা টহল। শনিবার কলকাতার বিভিন্ন ওয়ার্ডে চলছে সেনা টহল নজরে এসেছে।
২৭ মার্চ রাজ্যের প্রথম দফার নির্বাচন। প্রথম দফায় পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম,পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের ৩০টি বিধানসভায় নির্বাচন। এই ৩০টি কেন্দ্রের জন্য ১০ হাজার ২৮৮টি বুথে নির্বাচন হবে ২৭ মার্চ।
প্রথম দফার নির্বাচনের অনেক আগেই রাজ্যে প্রথমে ১২৫ কোম্পানি সেনা এসেছে। তারপর ১৭০ কোম্পানি এবং তার পরে এসেছে ২০০ কোম্পানি সেনা। তাই বলা যায় প্রথম দফার নির্বাচনের আগে রাজ্যে এসেছে ৪৯৫ কোম্পানি সেনা। শুক্রবারের নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে আরও ২১০ কোম্পানি সেনা আসছে রাজ্যে।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচনে থাকছে ৭৩২ কোম্পানি সেনা। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে থাকছে ৬৯৭ কোম্পানি সেনা। তৃতীয় দফার নির্বাচনে থাকছে ৬৯৪ কোম্পানি সেনা। চতুর্থ দফার নির্বাচনে থাককছে ৮৯৯ কোম্পানি সেনা। পঞ্চম দফার নির্বাচনে থাকছে ৯৫৫ কোম্পানি সেনা। ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে থাকছে ৯৩২ কোম্পানি সেনা। সপ্তম দফার নির্বাচনে থাকছে ৭৬০ কোম্পানি সেনা এবং অষ্টম দফার নির্বাচনে থাকছে ৭১৫ কোম্পানি সেন। এখন দেখা যাক জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এই কঠোর ব্যবস্থা রাজ্যে শান্তিতে নির্বাচন করার পক্ষে কতটা সদর্থক ভূমিকা নিতে পারে।