সিপিএম (CPIM) এর সর্বোচ্চ নির্ণয় স্থির করা কেন্দ্রীয় সমিতি ৭-৮ জুন নয়া দিল্লীতে বৈঠক করে তাঁদের হারের কারণ খুঁজবে। এই বৈঠকে সংগঠনকে কিভাবে মজবুত করা যায় সেটাও ভেবে দেখা হবে। সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, আজ আর কাল হওয়া এই বৈঠকে পার্টির মহাসচিব সীতারাম ইয়েচুরি (Sitaram Yechury) হারের দ্বায়িত্ব নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সামনে নিজের ইস্তফা পত্র পেশ করতে পারেন। এবার সূত্র থেকে এটাও খবর পাওয়া গেছে যে, সীতারাম ইয়েচুরির ইস্তফা গ্রহণ করা হবেনা। আর এর প্রধান কারণ সিপিএম এর নতুন কোন মুখ নেই, তাঁদের এমন কোন নেতা নেই যে, সিপিএমের বৈতরণী পার করতে পারবে।
২০০৪ সাকে লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফল করার পর, ২০১৯ এর নির্বাচনের আগে কৃষকদের নিয়ে নানারকম আন্দোলন করে ভেবেছিল তাঁরা এবার হয়ত সন্তোষ জনক যায়গায় পৌঁছাতে পারবে। কিন্তু এবার জনগণ তাঁদের উপর আগের থেকেও কম আস্থা রেখেছে। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে সিপিএম এবার মাত্র তিনটে আওসন ধরে রাখতে পেরেছে।
ভোটের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার আগে সিপিএম এর মহাসচিব সীতারাম ইয়েচুরি বলেছিলেন, ‘ পরিণাম অবাক করা হবে, আর বামেরা তাঁদের ছাপ ছেড়ে যাবে। উনি বলেন, আমাদের পারফমেন্স লিওনেল মেসির মতো হবে, যে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে গোলের পর গোল করে যায়।”
সীতারাম ইয়েচুরির এই ভবিষ্যৎ বাণী বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের জন্য ছিল। তাঁরা এবার পশ্চিমবঙ্গ থেকে অন্তত ১০ টি আসন আশা করেছিল। কিন্তু ফলাফল ঘোষণার দিন সিপিএম গোল করলো ঠিকই, কিন্তু সেই গোল শুধু আসনের ক্ষেত্রেই হল! এবার এরাজ্য থেকে সিপিএম একটিও আসন দখল করতে পারেনি। বরঞ্চ রাজ্যের প্রতিটি আসনেই সিপিএম এর প্রার্থীদের জমানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে একটি আসন বাদে। আর এই লজ্জাজনক হারের দায় নিজের কাঁধে তুলে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন।