বাটলা হাউস এনকাউন্টারে দিল্লীর সাকেত আদালত ইন্ডিয়ান মুজাহিদ্দিনের জঙ্গি আরিজ খানকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। ১৫ মার্চ আরিজ খানের সাজা ঘোষণা হবে। আর এই নিয়ে মঙ্গলবার বিজেপির নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ কংগ্রেস, বাম আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাতে নেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, আদালত পরিস্কার বলে দিয়েছে যে বাটলা হাউস এনকাউন্টার ফেক ছিল না। তিনি বলেন, সোনিয়া গাঁধির এখনও চোখ দিয়ে জল পড়ছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, বাটলা হাউস এনকাউন্টার সত্যি প্রমাণিত হলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। এবার আমরা জিজ্ঞাসা করছি রাজনীতি কবে ছাড়বেন?
রবিশঙ্কর প্রসাদ বলে, দেশের সুরক্ষা আর সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মামলা কংগ্রেস আর বিরোধী দলগুলো হামেশা জঙ্গিদের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। দিল্লীতে হওয়া ভীষণ জঙ্গি হামলার মামলায় পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা হয়েছে। শুধু তাই নয়, রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, আরিজ খান ওরফে জুনেইদ বাটলা হাউস এনকাউন্টার ছাড়া ২০০৭ সালে উত্তর প্রদেশের লখনউ আদালর ব্লাস্ট, ফৈজাবাদ আর বারাণসী ব্লাস্টেও যুক্ত ছিল।
রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ২০০৮ সালে দিল্লী, জয়পুর, আহমেদাবাদ আর উত্তর প্রদেশের আদালতে যেই ব্লাস্ট গুলো হয়েছিল, তাঁর মুখ্য ষড়যন্ত্রকারী ছিল এই আরিজ খান। বিজেপি ভোটব্যাঙ্কের অভিযোগ তুলে বলেন, বাটলা হাউস কাণ্ডকে সমাজবাদী পার্টি, কংগ্রেস, লেফট আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ন্যাশানাল ইস্যু বানিয়েছিলেন। এর মানে কি? ভোটব্যাঙ্কের জন্য সন্ত্রাসবাদ বিরোধী লড়াইকে এভাবে কমজোর করা হবে?