মঙ্গলবার ভারত বাংলাদেশের (India and Bangladesh) মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে মৈত্রী সেতুর (Maitri Setu) উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই সেতুর উদ্বোধন করবেন তিনি (PM Modi to inaugurate)। ত্রিপুরায় একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস করার কথা প্রধানমন্ত্রী মোদীর (PM Modi)।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর ফেনী নদীর ওপর তৈরি এই মৈত্রী সেতু ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশকে সড়ক পথে জুড়বে। দেশের উত্তর পূর্ব সীমান্ত রাজ্য ত্রিপুরার সঙ্গে সড়ক পথে যুক্ত হতে চলেছে বাংলাদেশ। মৈত্রী সেতু তৈরি করতে খরচ হয়েছে ১৩৩ কোটি টাকা। সেতুটি তৈরি করেছে ন্যাশনাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচর ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে যে প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে এই ব্রিজ ১.৯ কিমি দীর্ঘ। ভারতের সাবরুম থেকে বাংলাদেশের রামগড় পর্যন্ত এটি বিস্তৃত। দুই দেশের মানুষের জীবনযাত্রায় বড় প্রভাব ফেলবে মৈত্রী সেতু। দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ককে আরও গভীর করে তুলে যাতায়াত ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে চলেছে এই সেতু। এতে দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।
প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে ৯ই মার্চ দুপুর বারোটায় মৈত্রী সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ত্রিপুরার অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক মানচিত্র বদলে দেবে মৈত্রী সেতু বলে জানানো হয়েছে এদিন।
এদিকে, সোমবারই দেশের ৭৫০০তম জনৌষধী কেন্দ্র উদ্বোধন হল শিলংয়ে। North Eastern Indira Gandhi Regional Institute of Health and Medical Sciences (NEIGRIHMS)-এ ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এখনও পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে ৭ হাজার ৪৯৯টি জনৌষধী কেন্দ্র কাজ শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী অফিসের তরফে জানানো হয়েছে ১ মার্চ থেকে ৭ মার্চ, গোটা সপ্তাহ ধরে এই জনৌষধী যোজনা নিয়ে প্রচার চালানো হবে। সপ্তাহটিকে জনৌষধী সপ্তাহ নামে অভিহিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এটি প্রমাণ করে উত্তর পূর্ব ভারতে কীভাবে পাব্লিক হেল্থ সেন্টার প্রসার লাভ করছে। ২০১৪ সাল পর্যন্ত এখানে ১০০টিরও কম জনৌষধী কেন্দ্র ছিল। কেন্দ্রীয় সরকার ১০ হাজারটি জনৌষধী কেন্দ্র খোলার পরিকল্পনা করেছে। স্বাধীনতার ৭৫ তম বছরে প্রতি রাজ্যের জেলায় জেলায় জনৌষধী কেন্দ্র খোলার আবেদন করেন তিনি।