শুরু করেছিলেন ব্রিটিশ আমল থেকে, শেষ করলেন ‘পিসি-ভাইপো’তে এসে। সাম্প্রতিক কালে যতবার বাংলায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রী, এতটাও চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেননি তিনি। কিন্তু ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে মমতার উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘বাংলার মানুষ অনেক স্বপ্ন নিয়ে আপনাকে দিদি করেছিল। কিন্তু আপনি একজনের পিসি কেন হয়ে গেলেন? বাংলার মানুষের বিশ্বাসভঙ্গ করেছেন মমতা দিদি। মা-বোনেদের উপর অকথ্য অত্যাচার করেছে দিদির সাঙ্গপাঙ্গরা। বাংলার মানুষ কিন্তু তবু ভেঙে পড়েননি। বরং পরিবর্তন চাইছেন তাঁরা।’
রবিবাসরীয় ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে বারবার ‘আসল পরিবর্তনের’ কথা বলেছেন মোদি। বলেছেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে কোন কোন প্রকল্প আসতে চলেছে বাংলায়। বলেছেন, ‘বাংলার মানুষ পরিবর্তনের আশা ছাড়েননি। বাংলা উন্নতি চায়, শান্তি চায়।’ আর সেই শান্তি, উন্নয়ন বিজেপি এলেই সম্ভব বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘আজ এখানে দাঁড়িয়ে বাংলার মানুষকে কথা দিয়ে যাচ্ছি, যা কিছু আপনাদের থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে, সব ফেরত দেব। স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে নতুন সঙ্কল্প নিয়ে এগোতে হবে বাংলাকে।’
এদিন ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে কার্যত প্রতিশ্রুতির বন্য়া বইয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন, ‘বাংলার পুনর্নির্মাণ, সংস্কৃতির রক্ষা, শিল্প তৈরির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। বাংলার মানুষের উন্নতির জন্য ২৪ ঘণ্টা কাজ করে যাব আমি। প্রতি মুহূর্তে আপনাদের জন্য বাঁচব, আপনাদের সেবা করব। প্রতি মুহূর্তে কাজের মধ্যে দিয়ে আপনাদের মন জিতে নেব। তাই বাংলায় বিজেপিকে আনুন। উন্নয়নের বন্যা বয়ে যাবে।’
প্রতিশ্রুতি দিতে গিয়ে মোদি বলেন, ‘এই সরকার কমিশনবাজির সরকার। কমিশনবাজির জন্যই বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকার উন্নয়ন আটকে রয়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলেই কলকাতার জন্য স্মার্টসিটি প্রকল্প আনা হবে। নতুন-নতুন উড়ালপুল গড়া হবে। ঝুপড়িবাসীদের প্রত্য়েককে পাকা বাড়ি করে দেওয়া হবে।’ এখানেই শেষ নয়, প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঠেলাওয়ালাদের স্বনিধি যোজনার আওতায় আনবে বিজেপি। কলকাতার সঙ্গেই বাংলার অন্য শহরের জন্যই আত্মনির্ভরতার লক্ষ্য নিয়ে এগোব আমরা।’